২৭ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার, ০৪:১৯:৩৯ পূর্বাহ্ন


আড়াই বছরের প্রেম এবং বিয়ের কথা গোপন রেখে আমেরিকা প্রবাসির সাথে বিয়ের পিঁড়িতে নব বধূ!
স্টাফ রিপোর্টার:
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৪-০৭-২০২২
আড়াই বছরের প্রেম এবং বিয়ের কথা গোপন রেখে আমেরিকা প্রবাসির সাথে বিয়ের পিঁড়িতে নব বধূ! আড়াই বছরের প্রেম এবং বিয়ের কথা গোপন রেখে আমেরিকা প্রবাসির সাথে বিয়ের পিঁড়িতে নব বধূ!


আড়াই বছরের প্রেম এবং বিয়ের কথা গোপন রেখে আমেরিকা প্রবাসি ছেলের সাথে আবারও বিয়ের পিঁড়িতে বসতে যাচ্ছেন নব বধূ।

জানা গেছে, পাবনা জেলার ফরিদপুর গ্রাম থেকে রাজশাহী সরকারী মহিলা কলেজে ভর্তি হন পুস্পিতা নামের এক যুবতী। এর কিছুদিন পরেই রাজশাহী মহানগরীর মতিহার থানার কাজলা অক্ট্রয় মোড় এলাকার শুভ সরকার নামের এক যুবকের  সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে পুস্পিতার। 

আড়াই বছরের প্রেমের সম্পর্ক চলাকালীন সময় তাদের উভয় পরিবারের প্রায় সকল সদস্যের মাঝে বিষয়টি জানাজানি হয়। এতে যুবতীর পরিবার থেকে যুবকের সাথে বিবাহ্রে বিষয়ে মত-বিরোধ দেখা হয়। এরই মধ্যে যুবককে প্রত্যাখানের জন্য যুবতীকে চাপ দেয় তার পরিবাররের লোকজন।

কিন্তু এই কপোত-কপোতী কেউ কাউকে ছাড়া বাঁচবেনা। তাই তারা সিদ্ধান্ত নেয় প্রেমের ইতি টেনে দ্রুত সময়ের বিবাহ্ করে সংসার শুরু করবে। এমন সিদ্ধান্তের পর তারা কোট ম্যারেজ করেন এবং বিয়ের বিষয়টি গোপন রাখেন। 

গত জুন মাসে পুস্পিতা শুভ’কে জানায়, সে তার বাবার বাড়ি যাবে। ফিরে এসে কোন মন্দিরে ধর্মিয় রিতি মেনে বিবাহ্ সম্পন্ন করে সংসার শুরু করবে। 

হাসিমুখে বিদায় দেয় সঞ্জিব। বাড়ি গিয়ে পুস্পিতা নিয়মিত ফোন দেয় শুভকে। তাদের আলাপ চারিতাও অব্যাহত থাকে। 

হটাৎ ২৮ জুন পুস্পিতা ফোন দেয়া বন্ধ করে দেয় শুভকে। আকাশ ভেঙ্গে পড়ে মাথায়। কি এমন হলো পুস্পিতা ফোন দেয়া বন্ধ করে দিলো ? কোন অসুখ করলো নাতো ? নাকি কোন বিপদ ? বিপদ বলতে তার বাড়ির লোকজন তাকে আটকে দিলো নাকি ? নাওয়া খাওয়া হারাম শুভ’র। সিদ্ধান্ত নিলো পাবনা যাবে শুভ। কারন তার যে কোন উপাই নেই। তাকে জানতেই হবে কি হয়েছে তার স্ত্রী পুস্পিতার । 

মঙ্গলবার (১২ জুলাই) বিকেলে প্রাইভেটকার ভাড়া করে পাবনায় যায় শুভ। এ সময় তার সাথে ছিলো তার বড় ভাই, ছোট বোন জামাই ও প্রতিবেশি এক ভাই। পাবনা সদরে পুস্পিতার নানার বাড়ি গিয়ে দেখা গেল তাদের সকল আতিœয়স্বজন সেখানে উপস্থিত রয়েছে। 

পুস্পিতা বাবা জানালেন, আমেরিকা প্রবাসি এক ছেলের সাথে পুস্পিতা আর্শিবাদ হয়ে গেছে। বিয়ের দিন তারিখ ঠিক করা হয়েছে। আর সব কিছুই হয়েছে পুস্পিতার ইচ্ছায়। তখনও বিশ্বাস করতে নারাজ শুভ। সে বলে আমি পুস্পিতার মুখে শুনবো। হাজির করা হলো পুস্পিতাকে। 

পুস্পিতা যা বল্লো তা শুনে সবাই হতভম্ব। সে সাফ জানালো বিয়ে তার নিজের পছন্দেই হচ্ছে। সে যে আড়াই বছর প্রেম করেছে তা তার ভুল ছিলো। 

ওই সময় শুভ পুস্পিতাকে তাদের সম্পর্ক নিয়ে কিছু প্রশ্ন করে, তার জবাবও সে স্বাভাবিক ভাবেই দেয়। শেষে পুস্পিতা শুভ’র উদ্দেশ্যে বলে, তুমি চাইলে আমি বিষ খাবো। তবুও তোমাকে আমি বিয়ে করতে পারবোনা বলে প্রস্থান করে সে।

এ সময় মেয়ের মা, খালা কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন, শুভ তুমি বাবা আমাদের মাফ করে দাও। তুমি যা চাও আমরা দেবো। শুধু মেয়েকে দিতে পারবোনা। একই কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে। শেষ পর্যন্ত অশ্রু বিসর্জনের মধ্য দিয়ে আড়াই বছরের প্রেম, ভালবাসা এবং বিয়ের ইতি টানেন প্রেমিক এবং স্বামী শুভ।