যে কোনও অনুষ্ঠানে তারকাদের ভিড়ে তাঁকে চোখে পড়ে না সচরাচর। অনেকে হয়তো ভুলে গিয়েছেন নামটাও। তবু তা নিয়ে খেদ নেই অভিনেত্রীর। কারণ, তারকা নয়, এক জন ভাল অভিনেত্রী হতে চেয়েছিলেন বলে জানালেন ঊর্মিলা মাতোন্ডকর। বিলাসী জীবন, জাঁকজমক, জৌলুস ফেলে কাজ নিয়েই পড়ে থেকেছেন এত বছর। তার বিনিময়ে কতটুকু পরিচিতি পেয়েছেন বা পাননি, সে নিয়ে আদৌ মাথা ঘামান কি ‘রঙ্গিলা’ অভিনেত্রী?
এক সাক্ষাৎকারে বললেন, ‘‘আমি প্রতিযোগিতায় নামিনি। তারকা হতে চাইনি। যেটুকু কাজ করেছি, তাতেই পূর্ণতার স্বাদ পাই। পেশাদার জীবন নিয়ে আমি পরিতৃপ্ত।’’
শুধু তাই নয়, এখনও কতটা কর্মনিষ্ঠ তিনি, সে কথাও জানান। বলেন, ‘‘এখনও অবধি আমি কোনও পিআর রাখিনি। নিজেকে কর্মঠ রাখতে চাই আজীবন। কেরিয়ার নিয়ে অনুশোচনা? কোনও দিন হয় না। কেনই বা হবে? আমি যখন ভাল কাজ খুঁজছি, বাকিরা তখন পত্রিকার প্রচ্ছদ হতে ব্যস্ত। আমি অনেক রকম কাজ করতে পারায় ইচ্ছে মতো প্রস্তাব নাকচ করেছি। এটা আমার তরফে একটা সুবিধে ছিল।’’
‘মাসুম’ (১৯৮৩), ‘রঙ্গিলা’ (১৯৯৫), ‘সত্য’ (১৯৯৮), ‘কওন?’ (১৯৯৯), ‘পিঞ্জর’ (২০০৩)-এর মতো বহু বাণিজ্যসফল ছবিতে অভিনয় করেছেন ঊর্মিলা। তবে তাঁর দাবি, ‘‘আমি সব সময় নিজের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় ছিলাম। নিজেকে বারবার ভেঙেছি এবং গড়েছি। যখন বাকি অভিনেত্রীরা আমার ‘রঙ্গিলা’ লুক নকল করতে ব্যস্ত, আমি তখন এগিয়ে গিয়েছি ‘জুদাই’ (১৯৯৭)-এ। বিভিন্ন চরিত্রের মধ্যে আমি কেবল নিজের সেরাটুকু ফুটিয়ে তুলতে চেয়েছি।
অভিনয়ের পাশাপাশি সম্প্রতি রাজনীতিতেও পা রেখেছেন ঊর্মিলা। এই পদক্ষেপ সম্পর্কে তিনি জানান, সমাজকে কিছু ফিরিয়ে দেওয়ার ছিল, তাই এসেছেন।
তাঁর কথায়, ‘‘বিনোদন হল মানুষের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করার সবচেয়ে ভাল পথ। এখানে আমি নিরাপদ বোধ করি। তবে যে কথাগুলো আমি সমাজবোধ থেকে মানুষকে বলতে চাই, যা কিছু ফিরিয়ে দিতে চাই, সে সবের জন্য রাজনীতিকে বেছে নিলাম।’’
সম্রতি একটি ডান্স রিয়্যালিটি শো-এ বিচারকের আসনে রয়েছেন অভিনেত্রী।