সম্প্রতি ওটিটি প্ল্যার্টফর্মে এমন কিছু গল্পের ওপর সিরিজ তৈরি হয়েছে, যেখানে পরিবারকে কেন্দ্র করে তৈরি গল্প মন মাতিয়েছে। এমনই প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল অনিল কাপুর, নীতু কাপুর , বরুণ ধাওয়ান, কিয়ারা আদবানি অভিনীত যুগ যুগ জিও!
কতটা প্রত্যাশা পূরণ করতে পারল এই সিনেমাটি? শুক্রবার বড় পর্দায় মুক্তি পেয়েছে এই সিনেমা। বলাই চলে অনেকাংশেই সেই প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে পেরেছেন পরিচালক রাজ মেহেতা। সিনেমাটি কুক্কু (বরুণ ধাওয়ান) এবং নয়নার (কিয়ারা আদবানি) জীবনের চারপাশে ঘুরেছে। শৈশবের প্রেম, বিয়ে কিন্তু পরিস্থিতির কলে পড়ে বিবাহবিচ্ছেদ হওয়ার ঘটনা সমাজে নতুন নয়। সেই গল্পটিকেই তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন পরিচালক।
তবে গল্পে অন্য এক টুইস্ট আছে। কুক্কু যখন নিজের বিয়ের কথা পরিবারে জানাতে যান তখন জানতে পারেন তাঁর বাবা (অনিল কাপুর), তাঁর মাকে (নীতু কাপুর) বিবাহবিচ্ছেদ দিতে চান। সঙ্গে রয়েছে কুক্কু ও নয়নার নিজেদের জীবনের সমস্যা। সবমিলিয়ে পরিচালক যেভাবে চিত্রনাট্যে জট বুনেছেন, সেভাবেই একে একে জট খোলার কাজ করেছেন শেষ অবধি।
দর্শককে শেষ পর্যন্ত ভাবাবেন গল্পের শেষে কি ঘটবে ‘হ্যাপি এন্ডিং’ নাকি সমস্যাগুলো সমাধান করা সম্ভব হবে না? সেটা দেখার জন্য হলমুখী হতেই হবে। তবে পরিচালক গল্পটিকে যেমন মুড়েছেন পারিবারিক সমস্যার চাদরে, তেমনই আছে ছোট ছোট অনেক কমেডি, যা দর্শককে একঘেয়েমি দূর করতে সাহায্য করবে।
ছবির পুরো কাস্ট নিয়ে কথা বলার জায়গা নেই। প্রত্যেকেই নিজের নিজের জায়গা সেরাটা দিয়েছেন। আলাদা করে বলতে গেলে বলতে হয় নীতু কাপুরের কথা। কারণ, খুব একটা সিনেমাতে দেখা যায় না তাঁকে। তবে তিনি যে একজন পাওয়ারফুল অভিনেত্রী তা আবারও প্রমাণ করলেন। সুযোগ পেলেই তিনি যে ছক্কা হাঁকাতে পারেন তা বুঝিয়ে দিলেন তিনি।
অনিল কাপুর , বরুণ ধাওয়ান, কিয়ারা আদবানির অভিনয় যথাযথ। বিশেষত বরুণ ধাওয়ানের অনবদ্য কমিক টাইমিং, সঙ্গে অনিল কাপুরের পাওয়ার হিটার পারফরম্যান্স। এক কথায় অভিনয় আপনাকে আসন ছাড়তে দেবে না।
তবে কি সিনেমাটিতে সমস্যা নেই? আছে, কমিক সিকুয়েন্সগুলোকে মনে হতেই পারে পুরনো মদ নতুন বোতলে পরিবেশন করার মত। তবে পুরনো হলেও নতুন করে আপনার মুখে হাসি ফোটাবে তা বলাই বাহুল্য।