২১ নভেম্বর ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ১১:৫২:২২ অপরাহ্ন


সাবেক স্বামীর দেওয়া এসিডে ঝলসে গেল গার্মেন্টস কর্মীর মুখ ও হাত
অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৯-০১-২০২২
সাবেক স্বামীর দেওয়া এসিডে ঝলসে গেল গার্মেন্টস কর্মীর মুখ ও হাত সাবেক স্বামীর দেওয়া এসিডে ঝলসে গেল গার্মেন্টস কর্মীর মুখ ও হাত


সাবেক স্বামীর দেওয়া এসিডে ঝলসে গেল গার্মেন্টস কর্মী সাথী আক্তারের (১৯) মুখ ও হাত। এমনই অভিযোগ ভুক্তভোগীর পরিবারের।

গতকাল শুক্রবার (২৮ জানুয়ারি) রাত সোয়া ২টার দিকে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে মানিকগঞ্জ জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তবে ঝলসে যাওয়া মুখ ও হাতের যন্ত্রণায় হাসপাতালের বেডে কাতরাচ্ছেন সাথী।

ভুক্তভোগী সাথী আক্তার মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার ধানকোড়া ইউনিয়নের কাটাখালী ফেরাজীপাড়া এলাকার আব্দুস সাত্তারের মেয়ে।

শনিবার (২৯ জানুয়ারি) দুপুরে মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের নতুন ভবনের ৬ষ্ঠ তলায় নারী সার্জারি ওয়ার্ডে গিয়ে দেখা যায় এমিই চিত্র। এ ওয়ার্ডের ১৯ নম্বর বেডে চিকিৎসাধীন সাথী। এসিডে ঝলসে গেছে তার মুখ ও দুটি হাত। অসহ্য যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন তিনি।

ভুক্তভোগীর পরিবার সূত্রে জানা গেছে, দুই বছর আগে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার বেতিলা গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে নাঈমের সঙ্গে বিয়ে হয় সাথীর। তবে বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের জন্য চাপ দিয়ে অত্যাচার করত নাঈম। নাঈম মাদকাসক্ত ও বখাটে হওয়ায় বিবাহ বিচ্ছেদ করেন সাথী।

তবে নাঈমের সঙ্গে পুনরায় সংসার না করলে সাথীকে মেরে ফেলার হুমকি দেন তিনি। এর জের ধরে নাঈম গতকাল শুক্রবার মধ্যরাতে ঘরের ভাঙ্গা জানালা দিয়ে সাথীর মুখে এসিড ছুড়ে দেয় বলে অভিযোগ সাথীর পরিবারের।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সাথীর মা জুলেখা বেগম বলেন, বিবাহ বিচ্ছেদের পর থেকেই রাস্তাঘাটে মেয়েকে বিরক্ত করতে শুরু করে নাঈম। তার সঙ্গে সংসার না করলে মেরে ফেলার হুমকিও দেয় সে। এর জের ধরেই শুক্রবার মধ্যরাতে ঘরের ভাঙ্গা জানালা দিয়ে আমার মেয়ের মুখে এসিড মেরে হাত-মুখ ঝলছে দেয় নাঈম। আমি তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করি।

সাথীর বড় ভাই সোহেল বলেন, আমার বোন ধামরাই উপজেলার একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করে। অফিসে যাওয়া-আসার সময় রাস্তা-ঘাটে বিরক্ত করত নাঈম। পুনরায় তাকে বিয়ে করে সংসার করার জন্য চাপ দিতে থাকে। তার এই প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় শুক্রবার মধ্যরাতে নাঈম এসিড দিয়ে সাথীর হাত ও মুখ ঝলসে দেয়।

সাথীর বিষয়ে জানতে চাইলে মানিকগঞ্জ জেলা হাসপাতালের আবাসিক স্বাস্থ্য কর্মকর্তা (আরএমও) কাজী একেএম রাসেল বলেন, দাহ্য পদার্থে সাথীর হাত-মুখ ঝলসে গেছে। তাকে সার্জারি ওয়ার্ডে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এখানে তার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজে পাঠানো হতে পারে।

সাটুরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফুল আলম বলেন, এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর পরিবার থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

রাজশাহীর সময় /এএইচ