একই পরিবারের তিন জনের আত্মহত্যার ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের পাঁড়ুই থানার অন্তর্গত মহুলা গ্রামে। ওই গ্রামের প্রশান্ত পাত্র (৩৭) এবং তৃপ্তি পাত্র (২৯) গত সোমবার রাতে বিষাক্ত কোন ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নেন। তারা আত্মহত্যার পথ বেছে নেওয়ার পাশাপাশি তাদের ১৪ বছরের সন্তান দীপ পাত্রকেও সেই ওষুধ খাওয়ানো হয়। ঘটনার পর তড়িঘড়ি স্থানীয় বাসিন্দারা তাদের উদ্ধার করে বোলপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে এলে দীপ পাত্রকে রাতেই মৃত বলে ঘোষণা করা হয় এবং ভোর নাগাদ বাকি দুজন মারা যান।
এর পাশাপাশি ওই সুইসাইডনোটে তাদের এমন আত্মহত্যার পথ বেছে নেওয়ার জন্য দায়ী করা হয়েছে, সদাইপুর থানার অন্তর্গত চিনপাই গ্রামের নির্মল ঘোষ, নমিতা ঘোষ, উত্তম ঘোষ এবং মহুলা গ্রামের স্বপন পাত্র, নারায়নী পাত্র, কল্যাণী পাত্র এবং ধীরেন পাত্রকে। এই সাতজনের বিরুদ্ধে যথোপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি তুলেছেন তারা।
ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে মৃত তৃপ্তি পাত্রের দাদা কাশীনাথ ঘোষ জানিয়েছেন, "বোনের উপর অত্যাচার চালাত শ্বাশুড়ি, ননদ। এই নিয়ে আগেও অনেক ঝামেলা হয়েছে। তবে সবক্ষেত্রেই মিটিয়ে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু কাল কেন হঠাৎ এমন ঘটনা ঘটাল তা বুঝতে পারছি না। বিষ খাওয়ার পর আমাকে ফোন করে জানায় আমার বোন। সাত জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে এবং তাদের বিরুদ্ধে যথেষ্ট ব্যবস্থা গ্রহণের কথা মরার আগে জানিয়ে গিয়েছেন আমার বোন।