জ্বলছে পূর্ব ইউক্রেন। রুশ সমর্থনপ্রাপ্ত বিচ্ছিন্নতাবাদীদের অধিকৃত ডনেত্স্ক শহরে আজ হামলা চালায় ইউক্রেনীয় সেনা। তাতে পাঁচ জন নিহত হয়েছেন। জখম অন্তত ১২। সেভেরোডনেত্স্কেও যুদ্ধ অব্যাহত। শহরের কাছে একটি গ্রামে দু'পক্ষের বাহিনীর সম্মুখসমর বাধে। ওরিকোভের গ্রাম তছনছ করে দিয়েছে রুশ বাহিনী। পাল্টা হামলা চালিয়ে 'শত্রুদের' গ্রামছাড়া করেছে ইউক্রেনীয় সেনা।
আঞ্চলিক গভর্নর সের্গেই গাইডেই বলেন, ''রুশরা বলেই চলেছে, ওরা সেভেরোডনেত্স্ক দখল করে নিয়েছে। সব মিথ্যা। এটা সত্যি, যে তারা শহরের বেশির ভাগ অংশ নিয়ন্ত্রণ করছে। কিন্তু পুরোটা দখল করতে পারেনি।'' সের্গেই আরও জানান, ক্রমাগত নতুন নতুন সেনাদল নিয়ে আসছে রাশিয়া। ক্রমাগত সেনা বহরে বদল আনছে। তাঁর কথায়, ''ওরা এক পা, এক পা করে এগোচ্ছে। মিটার, প্রতি মিটার দখল করছে। অনেকটা হামাগুড়ি দিয়ে এগোনোর মতো... একটু একটু করে দখল করা।''
সেভেরোডনেত্স্কে আটকে পড়ে রয়েছেন হাজার হাজার বাসিন্দা। লিসিচাঙ্কস দিয়ে তাঁদের উদ্ধার করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ইউক্রেনের প্রশাসন। সেভেরোডনেত্স্ক থেকে বয়ে আসা নদী বরাবর গোলাবর্ষণ করছে রুশরা। এ শহর থেকে বেরোনো এক প্রকার অসম্ভব হয়ে উঠেছে। শেষ যে নদী-সেতুটি অক্ষত ছিল, সেটাও বোমা মেরে উড়িয়ে দিয়েছে রুশরা। তাদের গোলাবর্ষণ থেকে প্রাণ বাঁচাতে সেভেরোডনেত্স্কের আজত রাসায়নিক কারখানায় আশ্রয় নিয়েছেন কয়েকশো বাসিন্দা। অনেকেরই আশঙ্কা, এ-ও না মারিয়ুপোলের আজভস্টল ইস্পাত কারখানার মতো হয়। শোনা যাচ্ছে, এই কারখানা থেকে 'বন্দি' করা অনেককেই গুলি করে হত্যা করেছে রাশিয়া।
সের্গেই গাইডেই জানিয়েছেন, গত ২৪ ঘণ্টায় আজত কারখানায় দু'বার হামলা চলেছে। কারখানার যে নিকাশি নালা, বোমা ফেলে তা ধ্বংস করা হয়েছে। সেভেরোডনেত্স্কে ইতিমধ্যে খাদ্যাভাব দেখা দিয়েছে। জল নেই, চিকিত্সা ব্যবস্থার অভাব, চরম দুর্দশায় দিন কাটাচ্ছেন শহরে আটকে থাকা বাসিন্দারা। ঠিক যেমনটা মারিয়ুপোলে হয়েছিল। রাশিয়ার দখল করা এ শহরে এখনও বহু বাড়ির ধ্বংসস্তূপের তলায় চাপা পড়ে রয়েছে মৃতদেহ। সংক্রমণ ছড়াতে শুরু করেছে। কিছু জায়গায় দেখা গিয়েছে কলেরার প্রকোপ।
রাজশাহীর সময়/এএইচ