সিরাজগঞ্জের বিভিন্ন ইটভাটায় কাজ করছে শিশু শ্রমিক। কোনো কোনো ইট ভাটায় শিশুদের দিয়ে ভারি কাজ করানোর অভিযোগ পওয়া গেছে। এই শিশু শ্রমিকদের দেওয়া হচ্ছে না ন্যায্য মজুরি। জানা গেছে, ২ শত ইট ঘুড়িয়ে দিয়ে পারিশ্রমিক হিসেবে পাচ্ছে মাত্র ৫ টাকা।
সম্প্রতি সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া ও রায়গঞ্জ উপজেলায় বেশ কয়েকটি ইটভাটায় কাজ করতে দেখা যায় শিশু শ্রমিকদের । এদের অধিকাংশর বয়স ৮/১১ বছরের মধ্যে । এ সব শিশুরা অনেকেই লেখাপড়া করে। পারিবারিক অসচ্ছলতা এবং করোনা জনিত কারণে স্কুল বন্ধ থাকায় ইট ভাটায় কাজ করছে এ সব শিশুরা ।
ইট ভাটায় কর্মরত শিশু সুমন বলে, করোনার সময় স্কুল বন্ধ থাকায় আর স্কুলে যাই না। কাজ করে যে ট্যাহা পাই তা বাবার কাছে দেই। কর্মরত শিশুরা আরও জানায়, রোদে ইট শুকানোর জন্য ইটের দুই পাশে ঘুড়িয়ে দিতে হয়। কাদা প্রস্তুত করে ইট তৈরি ও ইট শুকিয়ে খামাল (গোছানো) তৈরি করতে হয়। ২শত কাচা ইট ঘুড়িয়ে দিয়ে একজন শিশু শ্রমিক পারিশ্রমিক হিসেবে পায় ৫ টাকা।
ইট ভাটা মালিক আব্দুল আজিজ বলেন, কয়লার মূল্য বৃদ্ধি ও করোনার জন্য বহুদিন থেকে ভাটা বন্ধ ছিল। কিছু দিন হলো ইটভাটা আবার ও চালু করেছি। শিশুদের আমরা কাজে নিতে চাইনা, কিন্তু তারা নিজের ইচ্ছায় কাজ করে। অনেক শ্রমিক আছেন তাদের সন্তানদের নিয়েই কাজ করছেন।
উল্লাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) দেওয়ান মওদুদ আহমেদ বলেন, যে সব ইটভাটায় শিশুদের ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিযুক্ত করেছে । তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রাজশাহীর সময় /এএইচ