সাংসারিক অশান্তির জেরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে স্ত্রী সন্তোষী মাঝির (২৮) গলায় কোপ মেরে গলা কেটে হত্যা করেছে তাপস দাস নামের পাষন্ড স্বামী ।
মঙ্গলকোটের সাগিরা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পেশায় মোটর গ্যারেজের কর্মী তাপস দাসের সঙ্গে বিজলি মাঝির বছর দশেক আগে বিয়ে হয়েছিল। ১০ বছর আগে বিয়ে হয়েছিল তাঁদের। সময় গড়াতে স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কে তিক্ততা এসেছিল। তবে সেই তিক্ততার জেরে যে সম্পর্কের এমন পরিণতি হবে কে জানত! স্বামী-স্ত্রীর টুকটাক ঝগড়া তো প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই চলে। কিন্তু সম্প্রকে সমস্যার জেরে এমন কাণ্ড কজন ঘটায়।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বিয়ের তিন বছরের পর থেকেই তাপসের মানসিক সমস্যা দেখে দিয়েছিল। নিহত বিজলি দাসের কাকা মাধব দাস জানান, স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কারণে- অকারণে প্রায় অশান্তি হতো।
তিনি আরও বলেন, শুক্রবার রাতে আমরা জানতে পারি 'দা' দিয়ে জামাই ভাইজির গলা কেটে খুন করেছে। আমরা মঙ্গলকোট থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি। মঙ্গলকোট থানার পুলিশ অভিযুক্তকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে।
স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কের এমন করুণ পরিণতির কথা শুনে অবাক পড়শিরাও। পাড়া-প্রতিবেশীর অনেকেই বলছেন, তাপস ও সন্তোষীর মধ্যে প্রায়ই সমস্যা হত। ঝামেলা, ঝগড়াও লেগে থাকত। তবে তার জেরে তাপস যে এমন কাজ করতে পারেন, তা আন্দাজ করতে পারেননি কেউই।
স্থানীয়রা বলছেন, কয়েক বছর ধরেই মানসিক সমস্যা ছিল তাপসের। পুলিশ এই ব্যাপারে তদন্ত শুরু করেছে।