বিয়ের দু’মাস পরেই ফিরে আসে প্রেমিক। সেই প্রেমিককে সাথে নিয়ে স্বামীকে খুন করার অভিযোগ স্ত্রীর বিরুদ্ধে। মালদহের হরিশচন্দ্রপুর থানার পুরাতন রাঙায়পুর গ্ৰামে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ অভিযুক্ত স্ত্রী ও তার প্রেমিককে গ্ৰেফতার করেছে । এ ঘটনায় হরিশচন্দ্রপুর থানায় খুনের মামলা দায়ের করা হয়েছে । লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে ।
পুলিশ জানিয়েছে, মৃত স্বামীর নাম আজমল হোসেন (২৩)। দুই মাস আগে ১৯ বছর বয়সী মারিনা খাতুনের সাথে বিয়ে হয়েছিল দিনমজুর আজমল হোসেনের। শুক্রবার রাতে খাবার পর অন্যান্য দিনের মতোই ঘুমোতে যান স্বামী-স্ত্রী। বেশি রাতে প্রেমিক আবুল কালামকে ফোন করে ডাকে স্ত্রী। এরপর গলায় দড়ি দিয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয় বলে পরিবারের অভিযোগ।
শনিবার সকালে লাশ উদ্ধার হতেই এলাকায় হইচই পড়ে। কিভাবে মৃত্যু তা নিয়ে স্ত্রীর কথায় অসঙ্গতি বুঝতে পারেন পরিবারের লোকজন । খবর পেয়ে এলাকায় ভিড় করেন স্থানীয়রা । উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এলাকায় । স্ত্রীকে গ্রেপ্তারের দাবিও ওঠে ।
পরিবারের দাবি মৃতের গলায় দড়ির দাগ পাওয়া গিয়েছে। এরপরে খুনের সন্দেহ তীব্র হয় আত্মীয়দের মধ্যে । খবর পেয়ে এলাকায় পৌঁছে যায় হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ । মৃতের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মালদহের পুলিশ সুপার প্রদীপ যাদব ।
মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে । ঘটনার পরে প্রথমে আটক করা হয় স্ত্রী মারিনাকে । তাকে হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের পর আটক করা হয় প্রেমিক আবুল কালামকে। পুলিশ জানিয়েছে ,দম্পতির মধ্যে কোনও রকম ঝগড়া বিবাদ ছিল , নাকি শুধুমাত্র পরকীয়ার কারণে খুন ? পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে ।