২৫ নভেম্বর ২০২৪, সোমবার, ১১:৫২:৩৪ পূর্বাহ্ন


যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি ব্যবসায়ীকে হত্যার ঘটনায় স্প্যানিশ নাগরিক গ্রেপ্তার
নোমান ইবনে সাবিত/বাংলা প্রেস:
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৭-০৬-২০২২
যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি ব্যবসায়ীকে হত্যার ঘটনায় স্প্যানিশ নাগরিক গ্রেপ্তার যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি ব্যবসায়ীকে হত্যার ঘটনায় স্প্যানিশ নাগরিক গ্রেপ্তার


যুক্তরাষ্ট্রের জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যে বাংলাদেশি ব্যবসায়ীকে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে গুলি করে হত্যার অভিযোগে স্থানীয় কোব কাউন্টি পুলিশ এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে। গত মঙ্গলবার (১৪ জুন) রাতে নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানেই দুর্বৃত্তরা গুলিতে খুন হন প্রবাসী বাংলাদেশি আবু সালেহ মাহফুজ আহমেদ। আসামীকে ধরতে পুলিশ জোর তৎপরতা চালিয়ে ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই মার্কাস বাস (৫৯ )নামক এক স্প্যানিশ নাগরিককে গ্রেপ্তার করেন পুলিশ। এ খবর জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম বাংলা প্রেস।

মঙ্গলবার রাতে জর্জিয়ার আটলান্টা শহর থেকে প্রায় ৫০ মাইল উত্তরে মফস্বল শহর আকওয়ার্থে উক্ত খুনের ঘটনাটি ঘটে। এ সময় আবু সালেহ মাহফুজ আহমেদ তার নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান কুইকি মার্ট নামক গ্রোসারি দোকানে কর্মরত ছিলেন।

নিহত মাহফুজের ঘনিষ্টজনেরা জানান, ওইদিন রাত সাড়ে ৯টার দিকে তিন দুর্বৃত্ত গ্রোসারি স্টোরে প্রবেশ করে এলোপাতাড়ি গুলি করে। তারা স্টোরের কাউন্টার ভাংচুর এবং ক্যাশ রেজিস্টার গচ্ছিত সমুদয় ডলার লুট করেন। এ সময় মাহফুজ আহমেদের বুকে দুটি গুলি ছুঁড়ে মারলে ঘটনাস্থলেই সে মারা মারা যায়। দোকানে অবস্থানরত অপর এক ক্রেতার ফোন কল পেয়ে তাৎক্ষণিক পুলিশ ছুটে দোকানে তার মৃতদেহ দেখতে পান।

প্রত্যক্ষদর্শীর বরাতে পুলিশ জানায়, ঘটনার পর এক ব্যক্তিকে উক্ত দোকান থেকে বেড়িয়ে একটি নীল নিসান সিডানে চড়ে দ্রুত পালিয়ে যেতে দেখেছেন । লোকটির মুখমন্ডল স্কি মাস্কে ঢাকা ছিল। তার দেওয়া তথ্যে কোব কাউন্টি ডিপার্টমেন্ট অব পুলিশ ফিউজিটিভ ইউনিট ঐ নিসান গাড়িটি ট্রাক করে এবং গাড়ির চালক মার্কাস বাস(৫৯) নামক এক স্প্যানিশ অভিবাসীকে গ্রেপ্তার করে। তার বিরুদ্ধে হত্যা, সশস্ত্র ডাকাতি, উত্তেজনাপূর্ণ আক্রমণ, উত্তেজনাপূর্ণ ব্যাটারি এবং একটি অপরাধ করার সময় একটি আগ্নেয়াস্ত্র রাখার অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়েছে বলে পুলিশ উল্লেখ করেন।

বৃহত্তর নোয়াখালী জেলার মাইজদির হরিনারায়নপুরের বাসিন্দা আবু সালেহ মাহফুজ আহমেদ জর্জিয়ার নরক্রস এলাকায় সপরিবারের বসবাস করতেন। তিনি ২০১০ সালে যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসী হন। মরহুমের স্ত্রী, ৮ বছরের এক মেয়ে ও ৫ বছরের এক ছেলে রয়েছে।