বিয়ের ১২ দিন পরই লাখ লাখ টাকার গহনা ১২ বছরের ননদকে নিয়ে পালিয়েছে নববধূ ।বিষয়টি নিয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছে নির্যাতিতার পরিবার। গয়না-টাকা খোয়া গেছে তবে ১২ বছরের মেয়েকে অপহরণ করা হয়েছে বলে পরিবারের অভিযোগ শ্বশুর বাড়ির লোকজনের ৷
পরিবারের সদস্যরা তাদের নাবালক মেয়েকে নিয়ে ভয় পাচ্ছেন । পুলিশ মেয়েটির খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে।
রাজস্থানের পুষ্কর শহরে এ ঘটনা ঘটে ৷ পঞ্চকুন্ড রোডের বাসিন্দা ২৭ বছর বয়সি ইয়াতুরের বিয়ে হয়েছিল মে মাসের ২৭ তারিখ৷ পাত্রী ছিল ঝাড়খণ্ডের জুম্মা রামগড়ের বাসিন্দা পূজা (২৬)। ইয়াতুরের শ্রবণ ক্ষমতা কম, সঙ্গে কথা বলাতেও সমস্যা রয়েছে ৷ এ কারণে তার বিয়ে হচ্ছিল না।
ইয়াতুর আত্মীয়রা জানিয়েছেন, তাদের এক পরিচিত পঙ্কজ কুমার ইয়াতুর বিয়ে ঠিক করেছিলেন। ইয়াতুর বাবা জানান, প্রায় ৪ মাস ধরে পঙ্কজ তাদের বাড়িতে আসা-যাওয়া শুরু করেছিল। ইয়াতুর বিয়ে নিয়ে তাদের উদ্বেগের কথা জানতেন তিনি। পঙ্কজ একদিন ইয়াতুরকে বিয়ে করার প্রস্তাব দেন ৷ তারই পরিচিত ঝাড়খণ্ডের মেয়ে পূজার কথা বলেন তিনি ৷ মেয়ের পরিবারের সদস্যরাও এই বিয়েতে খরচে হিসেবে ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা নিয়েছেন। ২৭ মে বিয়ে সম্পন্ন হয়। বিয়ের পর প্রায় ১৫ দিন সবকিছু ঠিকঠাক চললেও হঠাৎ করেই শুক্রবার নববধূ পূজা তার শাশুড়িকে ঘরে তালাবদ্ধ করে রাখে। এরপর পূজা সোনার গয়না নিয়ে পালিয়ে যায়। শুধু তাই নয়, ১২ বছরের ননদকে ফুসলিয়ে নিজের সঙ্গে নিয়ে যায়।
শাশুড়ির চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা ঘরে এসে ঘরের দরজা খুলে দেয়। এরপর ঘরে গিয়ে দেখেন গয়না পাওয়া যায় না। বিষয়টি ইয়াতুকে জানানো হয়েছে। ইয়াতু একটি বেসরকারি সংস্থায় কাজ করে ৷ পরে ইয়াতু ও পরিবারের সদস্যরা থানায় নিখোঁজ ডায়রি দায়ের করেছে। যেখানে অভিযোগ জানান যে পূজা প্রচুর সোনার গয়না নিয়ে পালিয়ে গিয়েছে। সকাল ১০টা দিকে, পূজার সঙ্গে তার ননদ রেলস্টেশনের দিকে যাওয়ার সময় সিসিটিভি ক্যামেরায় ধরা পড়ে। পুলিশ মামলা নথিভুক্ত করে তদন্ত শুরু করেছে। একই সঙ্গে ১২ বছরের কিশোরীকে সঙ্গে নিয়ে যাওয়া নিয়ে চিন্তিত পরিবারের সদস্যরা। ঝাড়খণ্ড পুলিশের সঙ্গেও যোগাযোগ করেছে পুলিশ। পূজার খোঁজ শুরু হয়েছে।