যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস মধ্য আমেরিকা থেকে অর্থনৈতিক কারণে অভিবাসন সমস্যা সমাধান করার লক্ষ্যে কর্পোরেট প্রতিশ্রুতির অংশ হিসেবে ৩২০ কোটি ডলার বিনিয়োগ করবেন। মঙ্গলবার তার অফিস বলেছে, এই সপ্তাহে আমেরিকার শীর্ষ সম্মেলনে আলোচনার জন্য তার নেয়া পদক্ষেপগুলো তুলে ধরা হবে। এ খবর জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম বাংলা প্রেস।
অঙ্গীকারগুলো উত্তর ত্রিভুজ নামে পরিচিত গুয়াতেমালা, হন্ডুরাস ও এল সালভাদর অঞ্চল থেকে আগত অভিবাসন প্রত্যশার ‘মূল কারণগুলো’ মোকাবেলার জন্য প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের পরিকল্পনার একটি প্রধান অংশ।
মেক্সিকান সীমান্ত দিয়ে রেকর্ড সংখ্যক মানুষ যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের চেষ্টা করছে, এমন সময়ে বাইডেনের জন্য নিয়মবহির্ভূত অভিবাসন রোধ করা শীর্ষ অগ্রাধিকারগুলোর মধ্যে একটি।
যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা বলেছেন যুক্তরাষ্ট্র-আয়োজিত সম্মেলনের জন্য বুধবার বাইডেন লস অ্যাঞ্জেলেস সফর করেন। তিনি পশ্চিম গোলার্ধের জন্য বিদ্যমান বাণিজ্য চুক্তিতে একটি নতুন অর্থনৈতিক পরিকল্পনাও তুলে ধরবেন।
তবে কিউবা, ভেনেজুয়েলা ও নিকারাগুয়াকে বাদ দেয়ার বাইডেন প্রশাসনের সিদ্ধান্তে মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেস ম্যানুয়েল লোপেজ ওব্রাডোর ওই সম্মেলনে যোগ না দেয়ার সিদ্ধান্ত নেন, যা বাইডেনের কর্মসূচিতে ছায়াপাত করার হুমকি দিয়েছে।
তবে উত্তর ত্রিভুজ থেকে অভিবাসন রোধ করার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রচেষ্টা দুর্নীতির দ্বারা বাধাগ্রস্ত হয়েছে, লাখ লাখ টাকার প্রকল্পগুলো স্থগিত করা হয়েছে এবং কিছু বেসরকারি খাতের নিযুক্তিও স্থগিত করতে হয়েছে।
আরো জটিল বিষয়, গুয়াতেমালা এবং হন্ডুরাসের প্রেসিডেন্টরা ইঙ্গিত দিয়েছেন যে তারা শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেবেন না এবং পরিবর্তে অন্যান্য কর্মকর্তাদের পাঠাবেন। এল সালভাদরের প্রেসিডেন্ট নায়েব বুকেল উপস্থিত থাকবেন কিনা তাও অস্পষ্ট ছিল, তবে হোয়াইট হাউজের সরকারি অতিথি তালিকায় তার পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে প্রতিনিধি দলের প্রধান হিসাবে দেখানো হয়েছে।
অন্যদিকে, শীর্ষ সম্মেলনের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ কয়েক হাজার অভিবাসন প্রত্যাশী, যাদের মধ্যে অনেকেই ভেনেজুয়েলা থেকে এসেছেন সোমবার দক্ষিণ মেক্সিকো থেকে যুক্তরাষ্ট্রের দিকে যাত্রা শুরু করেছেন।
রয়টার্সের প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, কমপক্ষে ছয় হাজার মানুষ ইতোমধ্যে গুয়াতেমালার-মেক্সিকো সীমান্তের কাছে তাপাচুলা শহর ছেড়েছে।