ভিড়ের মধ্যে যুবতীদের শরীরে সুঁচ ফুটিয়ে খোঁচা মারার অভিযোগ উঠেছে এক যুবকের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় রবিবার ফ্রান্সের দক্ষিণাঞ্চলে এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে।
শ্যুটিংয়ের সময় নতুন ঘটনা দেখা গেছে। ১৭-১৮ বছর বয়সী ছয় কিশোরী, পূর্ব ফ্রান্সের বেলফোর্টে একটি উত্সবের সময় তাদের হাতে এবং বাহুতে হঠাৎ তীব্র ব্যথার অভিযোগ করে। একইসঙ্গে শুটিং চলাকালীন সুঁচের আঘাতের অভিযোগ করেছেন সাতজন মহিলা। এখান থেকে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়। ফ্রান্সের বিভিন্ন শহর থেকে এমন হামলার খবর জানা গেছে। আক্রান্তদের বেশিরভাগের রক্ত পরীক্ষা করতে বলা হয়েছে। কয়েকজনকে এইচআইভি এবং হেপাটাইটিসের প্রতিরোধমূলক ওষুধ দেওয়া হয়েছে।
জানা যায়, শুক্রবার সন্ধেয়, টুলনের রিভেরা সৈকতে একটি টেলিভিশন অনুষ্ঠানের জন্য কনসার্টের শুটিং চলছিল ৷ ওই সময় ২০ জনের যুবতীর শরীরে সূঁচের আঘাত লাগে ৷ তারা আহত হন ৷ সুঁচের আঘাতে এক যুবতীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তদন্তের সময়, অন্তত ১০০ জন নারীর উপর সিরিঞ্জ দিয়ে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এখন তাদের সকলের (HIV) পরীক্ষা করা হবে।
আহতদের মধ্যে দুইজন নারী সন্দেহভাজন এক যুবককে শনাক্ত করেছেন। এই ব্যক্তির বিরুদ্ধে গুরুতর এবং পূর্বপরিকল্পিত হামলার অভিযোগ আনা হয়েছে। যদিও সেই ব্যক্তি অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করেছে। তবে সাক্ষীদের জবানবন্দি রয়েছে এই যুবকের বিরুদ্ধে। যার উপর ভিত্তি করে তাকে আদালতে হাজির করা যেতে পারে।
এই বছরের শুরু থেকে সুঁচ দিয়ে আক্রমণের প্রায় ১০০টি ঘটনা ঘটেছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে সুঁচ দিয়ে আহত করতে মেয়েদের টার্গেট করা হচ্ছে৷ তবে ভিড়ের মধ্যে সুঁচ দিয়ে আক্রমণের সময় সেভাবে সুঁচ ফোটানোর অনুভূতি না হলেও, মেয়েদের শরীরে বমি বমি ভাব, মাথা ঘোরা এবং তীব্র ব্যথা হতে থাকে। পরে, তারা সুঁচ ফোটা চিহ্ন দেখতে পান ৷ যেখানে সুঁচ ফোটানো হয়, সেখানে কালচে দাগ হতে দেখা যায় ৷ এই ধরণের হামলা খুব ভয়ঙ্কর, কারণ কিছু বুঝে ওঠার আগে এই হামলা চলে ৷ সঙ্গে কী ধরণের সুঁচ ফোটানো হচ্ছে, তাও খুব আতঙ্কের৷ এতে HIV ছড়াতে পারে বলেও আশঙ্কা৷