আজকের ‘শ্রীময়ী’ ইন্দ্রানী সেদিন বোম্বেতে গিয়ে কি মুশকিলে পড়েছিলেন এ যেন ধারণার বাইরে। ইন্ডাস্ট্রির প্রথম দিনেই একেবারে গা ঘিনঘিনে বিপদের সম্মুখীন হয়েছিলেন অভিনেত্রী ইন্দ্রানী হালদার । বোম্বেতে কাজের নামে, কুৎসিত ঘটনার শিকার হয়েছিলেন অভিনেত্রী।
অভিনেতা অভিনেত্রীদের কাস্টিং কাউচে নানান কিছুর কবলে পড়তে হয়, এই ঘটনা নতুন নয়। কিন্তু অল্প বয়সের ইন্দ্রানী যেন কল্পনাই করতে পারেননি এমন কিছু। বোম্বেতে কাজের নামে, তার সঙ্গে অশালীন আচরণ করা হবে এ যেন ভাবনার অতীত। সম্প্রতি অভিনেত্রী জানান, সকালের ফ্লাইটে মুম্বাইয়ে ডাকা হয় তাঁকে। কিন্তু ভাল কোনও হোটেলে নয় একেবারে সস্তার একটি সাদামাটা হোটেলে তার থাকার বন্দোবস্ত করা হয়। আর এখানেই সংকোচ শুরু। হঠাৎ করেই ফোন আসে প্রযোজকের নম্বর থেকে, বলেন তিনি ইন্দ্রানীর সঙ্গে দেখা করতে চান। হোটেলের রুমে আসতে না আসতেই সেই ব্যক্তি কু প্রস্তাব দেন অভিনেত্রীকে। শারীরিক ভাবে ঘনিষ্ঠ হওয়ার চেষ্টা পর্যন্ত করেন।
ছোট ইন্দ্রানী তখনও ইন্ডাস্ট্রিতে নতুন। ভয়ের চোটে কাঁদতে শুরু করেন। হাত জোড় করে অনুরোধ করেন, এমন ঘৃণ্য আচরণ না করার জন্য। বলতে বলতে গলা ভারী হয়ে আসে অভিনেত্রীর। সেদিনের তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা আজও ভোলেননি তিনি। বললেন, “আমি কাঁদতে কাঁদতে বলছিলাম এমন করবেন না। এইভাবে কাজ পেতে আমি আসি নি”। উল্টে সেই ব্যক্তির তরফে উত্তর আসে, “তোমায় আমি বড় হিরোইন বানাবো। এরকম অনেক হিরোইন আমার পায়ের নিচে থাকে”। সেই মুহূর্তেও নিজের আত্মবিশ্বাস এবং গরিমা বিসর্জন দেননি তিনি। দৃপ্ত কণ্ঠে বলে ওঠেন, “হতে পারে তারা বড় বড় হিরোইন, তবে আমায় কাজ দিয়েছেন বলে বিন্দুমাত্র কোনও কম্প্রোমাইজ করব না”।
এখানেই শেষ নয়! রীতিমতো তাকে জোর করা হয়। মনে মনে একটাই ভয় পাচ্ছিলেন ইন্দ্রানী, আজ যেন ধর্ষনের শিকার না হন। সেই-মুহূর্তেই যেন ভগবানের কৃপায় প্রযোজকের স্ত্রীর ফোন আসে। ইন্দ্রানীও সুযোগ বুঝে জোরে জোরে কাশতে শুরু করেন। আর তার পরেই প্রযোজক বাধ্য হন ঘরের বাইরে বেরিয়ে যেতে। অভিনেত্রী বলেন, ‘আমি বরাত জোড়ে সেদিন বেচেঁ গিয়েছিলাম’। ইন্দ্রানীকে দিয়ে কিছু হবে না, এমন কথাও বলেছিলেন সেই প্রযোজক। অভিনেত্রী বলেন, এটাই আমার টার্নিং পয়েন্ট। এই প্রতিটা কথা আমার জেদ বাড়িয়ে দিয়েছিল।