খোলা মাঠে এক যুবতীর মুণ্ডুহীন লাশ দেখে আতঙ্কও ছড়ায় এলাকায়।বাসন্তী থানার উত্তর মোকামবেড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের হাড়ভাঙ্গী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। সাত সকালে ঘটনার খবর পেয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ। তদন্তও শুরু হয়েছে।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, হাড়ভাঙ্গী গ্রামের আকবর সরদারের মেয়ে তমিনা সরদার। প্রায় বছর ১৪ আগে দিঘার বাসিন্দা রাজু সরদারের সঙ্গে বিয়ে হয়। প্রায় ৬ মাস আগে রাজুর সাথে ছাড়াছাড়ি হয়ে বাপের বাড়িতে থাকতে শুরু করেন তমিনা। ইদানীং পেট চালানোর তাগিদে জরির কাজ শুরু করেছিলেন। সেই কাজ করতে গিয়ে আলাপ হয় স্থানীয় জাকির মোল্লার সঙ্গে।
জানা গেছে, জাকিরের সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরি হয় তামিনার। ৬ মাস আগে নাকি জাকিরের সঙ্গে বিয়েও হয়। বিয়ে হওয়ার পর থেকেই অশান্তি শুরু হয় বলে অভিযোগ। প্রতিদিনই জাকিরের প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে অশান্তি হত তামিনার। অভিযোগ জাকির তার প্রথম স্ত্রী হামিদার সঙ্গে মিলে দ্বিতীয় স্ত্রী তমিনাকে খুন করার পরিকল্পনা করে।
ঘটনার দিন, রাতের খাওয়া সেরে নিজের বাপের বাড়িতেই ছিলেন তামিনা। তাঁর পরিবার জানিয়েছে, ভোররাতে ফোন পেয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান তিনি। ভোরের আলো ফুটতেই এলাকার লোকজন দেখতে পায় মাঠের মধ্যে এক মহিলার মুণ্ডুহীন দেহ পড়ে রয়েছে। স্থানীয় মানুষজন মৃতদেহ দেখে বুঝতে পারে তাদেরই এলাকার গৃহবধু তমিনার দেহ মাঠে পড়ে রয়েছে । ঘটনার খবর পেয়ে তড়িঘড়ি বাসন্তী থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতদেহটি যেখানে পড়েছিল তার থেকে প্রায় ৫০০ মিটার দূরে একটি পুকুরে ওই মহিলার মুণ্ডু পড়েছিল।
মৃত গৃহবধুর বাপের বাড়ির লোকজনের দাবি, পারিবারিক আশান্তির জন্য তমিনাকে ওর স্বামী জাকির মোল্লা,আতিকুর মোল্লা,জাকিরের প্রথম স্ত্রী হামিদা পরিকল্পনা করে তাকে ডেকে এনে খুন করেছে। খুনের আগে মহিলাকে ধর্ষণ করা হয়েছে বলেও অভিযোগ। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।