আঙুল ফোটাতে নেই, আঙুল ফোটালে ভুগতে হতে পারে বাতের কষ্টে। ঠিক এই ব্যাপারটাই টানা ১৫ বছর ধরে হচ্ছিল ক্যালিফোর্নিয়া ইউনিভার্সিটির রেডিওলজি বিভাগের নার্স তানিয়া জনসনের সঙ্গে। যখনই আঙুল ফোটাতেন তিনি, তখনই নিষেধ করতেন ডাক্তার রবার্ট জাডো। এক দিন আর থাকতে না পেরে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলেন তানিয়া! মুখের উপর বললেন, ‘প্রমাণ করে দেখান কী ক্ষতি হয়!’
পরিণামে ৪০টি ব্যক্তিকে নিয়ে এক সমীক্ষায় নামা হয়! যারা মাঝে-মধ্যেই আঙুল ফুটিয়ে থাকেন! যাতে আঙুল ফোটানোর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কোন ভাবেই নজর এড়িয়ে না যায়, সেই জন্য সমীক্ষায় ব্যবহার করা হয়েছিল আলট্রাসাউন্ড প্রযুক্তি। সেই সমীক্ষাতেই দেখা গেল, আঙুল ফোটানো কোন ভাবেই শরীরে কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করে না। আর্থ্রাইটিসেরও কোন সম্ভাবনা নেই।
তবে এই সমীক্ষা করতে গিয়ে একটা অদ্ভুত ব্যাপারের সম্মুখীন হয়েছেন গবেষকরা। আঙুল ফোটালে ‘মট’ করে যে শব্দটা হয়, সেটা কোথা থেকে হচ্ছে আর কেনই বা হচ্ছে, তার কোন তথ্য তারা পাননি! সেই জন্যই সমীক্ষা এখনও চলছে, তা শেষ হয়ে যায়নি!
তবে ক্ষতি না-ই বা হল কিন্তু আঙুল ফোটালে কি শরীরের কোন উপকার হয়? সে প্রশ্নের জবাব এখনও পর্যন্ত রয়ে গিয়েছে অধরাই! ঠিক কী উপকার হয় আঙুল ফোটালে বা আদৌ হয় কি না- সেই সব নিয়েই আপাতত ব্যস্ত আছেন ক্যালিফোর্নিয়ার ওই গবেষক দল!
রাজশাহীর সময়/এইচ