বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি। যাঁর সাফল্যের চাবিকাঠির অনেকটাই ওয়ার্কিং-ফ্রম-হোম ব্যবসার ওপর ভিত্তি করে। সেই ইলন মাস্ক, টেসলা ইনকর্পোরেটেডের মুখ্য কার্যনির্বাহী আধিকারিক। মঙ্গলবার তাঁর একটি ইমেল কিন্তু ইলেকট্রিক-কার সংস্থার কর্মীদের রীতিমতো ভয় ধরাল। ইমেলে মাস্ক জানিয়েছে, ‘আর ওয়ার্কিং ফ্রম হোম চলবে না। কর্মীদের প্রতি সপ্তাহে ন্যূনতম ৪০ ঘণ্টা অফিসে থাকতে হবে। অথবা, টেসলা ছাড়তে হবে।
তবে, তাঁর এই নির্দেশ কেবল টেলসার প্রধান অফিসের জন্য। একথা স্পষ্ট করে দিয়েছেন মাস্ক। আচমকা তাঁর আচরণে এমন বদল কেন? তারও উত্তর দিয়েছেন এই শিল্পপতি। জানিয়েছেন, তাঁর এক মোসাহেব পরামর্শ দিয়েছেন, কর্মীদের বুঝিয়ে দিতে যে অফিস বলে একটা বিষয় আছে। কারণ, নাকি কর্মীদের অনেকেই অফিসের ধারণাটাই ভুলে গেছেন। তাই তিনি এতটা কড়া হলেন।
যাঁরা মাস্ককে জানেন, তাঁরা বলছেন ওসব মোসাহেব-টোসাহেব বাজে কথা। মাস্ক বরাবরই এরকম। টুইটার অধিগ্রহণের জন্য মাস্ক তখনও চুক্তি করেননি। তার সপ্তাহ দুয়েক আগে সিলিকন ভ্যালির এক শিল্পপতি কিথ রাবোইস টুইট করেছিলেন মাস্কের সম্পর্কে। সেখানে লিখেছিলেন, মাস্কের ম্যানেজমেন্ট পুরো শিল্পের পর্যায়ে পৌঁছে যায়। তখন মাস্ক স্পেস এক্সপ্লোরেশন টেকনোলজিস কর্পোরেশনের কর্তা। কাজের ফাঁকে তখন কফি ব্রেকের সময়। কিছু ইন্টার্নও কফির জন্য লাইনে দাঁড়িয়েছেন। মাস্ক করলেন কী, কফি খেতে খেতে ওই ইন্টার্নদের সঙ্গে কোম্পানির বিষয় নিয়ে আলোচনা শুরু করে দিলেন। যেটা তিনি মিটিংয়ে বলতেন, সেটাই কফি ব্রেকে সেরে নিলেন।
কর্মীদের থেকে যতটা পারা যায়, শুষে নেওয়ার মানসিকতা মাস্কের বরাবরই। কার্যত ঘুরিয়ে এমনই অভিযোগ করেছিলেন ওই শিল্পকর্তা। তখন অবশ্য অনেকে ভেবেছিলেন, মাস্কের প্রতি হিংসায় ওই শিল্পপতি এমনটা বলছেন। কিন্তু, পরে সময় যত এগোচ্ছে, ততই যেন কর্মীদের প্রতি মাস্কের এই শুষে নেওয়ার মানসিকতা ধরা পড়ছে। পেপ্যাল হোল্ডিংস ইনকর্পোরেটেডের দিন থেকে মাস্ককে চেনেন রাবোইস। তিনি জানিয়েছেন, পেপ্যাল হোল্ডিংসে মাস্ক একবার সমস্ত ইন্টার্নকে বরখাস্ত করার হুমকি দিয়েছিলেন। ইন্টার্নদের প্রায় চোর অপবাদ দিয়ে সংস্থার প্রায় প্রতিটি কোণে সিসিটিভি বসিয়েছিলেন। যাতে স্পষ্ট যে মাস্ক বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি হতেই পারেন। কিন্তু, তাঁর মন ততটা বড় বা উদার নয়।