স্বামীর পরকিয়া সম্পর্কের কথা জেনে যাওয়ায় স্ত্রীকে বেধড়ক পিটিয়ে মুখে বিষ ঢেলে খুনের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে ক্যানিং থানার হাসপাতাল পাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, ক্যানিংয়ের হাসপাতাল পাড়ার বাসিন্দা পেশায় ভ্যান চালক বুদ্ধদেব খাটুয়া। ১৬ বছর আগে মেদিনীপুর জেলার চণ্ডীপুরের মীনু খাটুয়াকে বিয়ে করেছিল সে। তাদের এক পুত্র ও এক কন্যাও রয়েছে। দীর্ঘ ১৬ বছরের দাম্পত্য জীবন সুখেই কাটছিল তাদের। পরকিয়ার জেরে দু’মাস হলো তাদের সেই শান্তি পরিনত হয়েছে অশান্তিতে।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, দু’মাস আগে বারুইপুরের চম্পাহাটির এক মহিলার সঙ্গে ফোনে আলাপ হয় বুদ্ধদেবের। শুরু হয় প্রেম। লুকিয়ে লুকিয়ে নতুন প্রেমিকার সঙ্গে ফোনে কথাবার্তা বলত সে। দেখাও করতো। বিষয়টা জেনে গিয়েছিলেন স্ত্রী মীনু। তিনি স্বামীর এই গোপন সম্পর্ক ধরার জন্য সুযোগ খুঁজছিলেন। সুযোগ মেলে বুধবার গভীর রাতে। রাত ২টার দিকে ভ্যানচালক বুদ্ধদেবকে ফোন করে তাঁর প্রেমিকাকে। স্ত্রী মীনু ঘুমিয়েছিলেন পাশেই। ফোনের কথোপকথন শুনতে পেয়ে ঘুম ভেঙে যায় তাঁর। তিনি স্বামীর থেকে ফোন কেড়ে নিয়ে কথা বলার চেষ্টা করেন।
হাতেনাতে ধরা পড়েই রেগে অগ্নিমূর্তি ধারণ করে বুদ্ধদেব। বেধড়ক মারধর করে নিজের স্ত্রীকে। এরপর জোর করে স্ত্রীর মুখে বিষ ঢেলে হত্যা চেষ্টা করে সে। জ্ঞান হারান মীনু দেবী। এর পর বেগতিক বুঝে তেঁতুল জল খাইয়ে স্ত্রীকে সুস্থ করে তোলার চেষ্টা করে বুদ্ধদেব। অবস্থা খারাপ হওয়ায় চিকিৎসার জন্য স্ত্রীকে নিয়ে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করে।
ডাক্তারদের জানায়, আত্মহত্যার জন্য বিষ খেয়েছেন স্ত্রী। এরপর স্ত্রীকে হাসপাতালের বেডে ফেলে রেখেই পালিয়ে যায় স্বামী।
চিকিৎসার পরে জ্ঞান ফিরতেই হাসপাতালের বেডে শুয়ে মীনু সবাইকে সব খুলে বলেন। শাস্তি দাবি করেন স্বামীর। জানান, হাসপাতাল থেকে ছুটি পেলেই থানায় মামলা করবেন।