২৫ নভেম্বর ২০২৪, সোমবার, ০৬:২৪:৩৫ পূর্বাহ্ন


মহারাষ্ট্রে ৬ সন্তানকে কূপে ফেলে হত্যা
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • আপডেট করা হয়েছে : ০২-০৬-২০২২
মহারাষ্ট্রে ৬ সন্তানকে কূপে ফেলে হত্যা ফাইল ফটো


নিজের পাঁচ মেয়ে ও এক ছেলেকে ২০ ফুট গভীর কূপে ফেলে হত্যার অভিযোগে এক নারীকে আটক করেছে পুলিশ। ভারতের মহারাষ্ট্রের মাহাদ শহরে তাকে আটক করা হয়েছে।

হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে, ওই নারীর নাম ‍রুনা চিখুনা সাহানি। রবিবার সন্ধ্যায় ছয় সন্তান নিয়ে ঘর থেকে বের হন তিনি।

পরে সোমবার তাদের কুয়ায় ফেলে হত্যা করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। সন্তানদের বয়স দেড় থেকে ১০ বছরের মধ্যে। 

রায়গড় পুলিশ সুপার অশোক দুধে বলেন, ওই নারীর স্বামী মাদকাসক্ত। সবসময় তাকে সন্দেহ করে। তাদের মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া চলতো। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওই নারী সন্তানদের নিয়ে ঘর ছেড়ে বের হয়ে যান।  

তিনি আরো বলেন, সোমবার সন্ধ্যায় তার সব সন্তানকে কুয়ায় ফেলে দেন। এটি একজন পথচারী দেখে ফেললে তিনিও ঝাঁপ দেন। ওই নারীকে পথচারী উদ্ধার করলে তিনি বেঁচে যান। কিন্তু বাচ্চাদের যখন তোলা হয় ততক্ষণে সবার মৃত্যু হয়।

অন্তত ১২ বছর ধরে স্বামী চিখুনার সঙ্গে সংসার করছেন রুনা। সন্তানরাও থাকত তাদের সঙ্গে।   পুলিশ বলছে, পাঁচমাস আগে বাসা বদলের আগ পর্যন্ত সব ঠিক ছিল। নতুন বাসার পাশে কিছু ব্যাচেলর ছেলে ছিল। স্বামী সবসময় সন্দেহ করতো- স্ত্রী ওই ব্যাচেলর ছেলেদের সঙ্গে পরকীয়া করছে। মাতাল অবস্থায় বাসায় ফিরে স্ত্রীকে মারধরও করতো তার স্বামী।

স্বামী চিখুনা বলেন, আমি মদ পান করি। তবে মাঝেমধ্যে। আমি মাদকাসক্ত নই। রবিবার আমাদের মধ্যে ঝগড়া হয়। আমি তাকে বলি, ঘর পরিষ্কার রাখতে এবং আমি কাজ থেকে বাড়ি ফেরার আগে আমার জন্য খাবার তৈরি করে রাখতে। এটি নিয়ে আমাদের মধ্যে হালকা ঝগড়া হয়। এর পর সে বাচ্চাদের নিয়ে মাহাদে যাবে বলে বের হয়ে যায়। পরদিন আমি তাদের খোঁজার চেষ্টা করি। এর পর এ খবর পাই।

গত মঙ্গলবার ওই নারীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করেছে। পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেছেন, জিজ্ঞাসাবাদের সময় তার মধ্যে কোনো অনুশোচনা দেখা যায়নি।

রাজশাহীর সময়/এএইচ