হুঁশিয়ারি সত্ত্বেও তাইওয়ানের আকাশে ৩০টি চীনা যুদ্ধবিমান অনুপ্রবেশের অভিযোগ করেছে তাইপে। যদিও পাল্টা জবাবে যুদ্ধবিমান পাঠিয়ে তাদের তাড়িয়ে দেয়ার দাবি করেছে তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা বাহিনী। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে তাইওয়ান। তবে যুদ্ধবিমান অনুপ্রবেশের বিষয়টি এখনো নিশ্চিত করেনি বেইজিং।
তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দাবি, সোমবার হঠাৎ করেই তাদের আকাশসীমায় ঢুকে পড়ে চীনের অত্যাধুনিক ৩০টি যুদ্ধবিমান। অনুপ্রবেশের পরপরই চীনা বিমানকে সতর্কবার্তা পাঠায় তাইপে। একইসঙ্গে অনুপ্রবেশকারী বিমানগুলোর গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করতে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাও মোতায়েন করা হয়। একপর্যায়ে তাইওয়ানের বেশ কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্রবাহী যুদ্ধবিমান ধাওয়া দিয়ে চীনা বিমানবহরকে তাড়িয়ে দেয়া হয় বলেও দাবি করে তাইপে।
তাইপের আকাশসীমায় অনুপ্রবেশকারী বিমানের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করেছে তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা বিভাগ। তারা জানায়, চীনা বিমানবহরে দুইটি কেজে-৫০০, ৬টি ওয়াই-৮ যুদ্ধবিমান, ৬টি জে-১৬ , ৪টি জে-১০ ও ৮টি জে-১১ যুদ্ধবিমানসহ আরো বেশ কয়েকটি অত্যাধুনিক বিমান অংশ নেয়। চলতি বছরের জানুয়ারির পর এটিই তাইওয়ানের আকাশে একসঙ্গে সবচেয়ে বেশি চীনা বিমান অনুপ্রবেশের ঘটনা। সেসময় ৩৯টি বিমান ঢুকে পড়েছিল তাইপের সীমানায়।
এই ঘটনায় নতুন করে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে তাইপে ও বেইজিংয়ের মধ্যে। বিমান অনুপ্রবেশের জেরে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে তাইওয়ান। ভবিষ্যতে এ ধরনের কর্মকাণ্ডে নিজেদের নিরাপত্তা রক্ষার স্বার্থে কঠোর পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হবে বলেও জানিয়েছে তাইপে। যদিও এ বিষয়ে এখনো কোনো মন্তব্য করেনি চীন।
সাম্প্রতিক সময়ে তাইওয়ানের আকাশসীমায় চীনা বিমান অনুপ্রবেশের ঘটনা বেড়ে গেছে। নিজেদের সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে দাবি করলেও চীন বরাবরই অঞ্চলটিকে নিজেদের অধিভুক্ত হিসেবে দাবি করে। সেই লক্ষ্যে তাইপের ওপর রাজনৈতিক ও সামরিক চাপ প্রতিনিয়ত বাড়িয়েই চলেছে শি জিনপিং সরকার।
ভবিষ্যতে চীনা সামরিক অভিযানের আশঙ্কার কথা বিবেচনা করে এরই মধ্যে নিজেদের সামরিক খাত শক্তিশালী করার উদ্যোগ নিয়েছে তাইওয়ান। এরই অংশ হিসেবে গত সপ্তাহে ব্যাপক আকারে বার্ষিক সামরিক মহড়া পরিচালনা করে তাইওয়ানের সশস্ত্র বাহিনী।