সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান নূর। মঞ্চ, চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন নাটকে অভিনয় করে পেয়েছেন তুমুল জনপ্রিয়তা।
দীর্ঘদিন পর আবারো নতুন একটি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন আসাদুজ্জামান নূর। সরকারি অনুদানে নির্মিত চলচ্চিত্রটির নাম ‘চাঁদের অমাবস্যা’। সিনেমাটি নির্মাণ করেছেন ‘মেঘমল্লার’খ্যাত নির্মাতা জাহিদুর রহিম অঞ্জন। পাশাপাশি সিনেমাটির স্ক্রিপ্টও লিখেছেন এই নির্মাতা নিজেই।
জানা যায়, সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহর উপন্যাস থেকে নির্মিত হয়েছে ‘চাঁদের অমাবস্যা’ সিনেমাটি। মানিকগঞ্জ ও মুন্সীগঞ্জের বিভিন্ন লোকেশনে এর দৃশ্যধারণের কাজ হয়েছে। শুটিং শেষে এখন ডাবিংয়ের অংশ বাদ রয়েছে।
উল্লেখ্য, সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহর অসাধারণ লেখনীশৈলীর নিদর্শন ‘চাঁদের অমাবস্যা’। এ উপন্যাসে আরেফ আলী নামের এক তরুণ দরিদ্র শিক্ষক বড় বাড়ির প্রধান মুরব্বি দাদা সাহেব আলফাজউদ্দিনের আশ্রিত। জ্যোৎস্না রাতে এক নগ্ন নারীর লাশ আবিষ্কার করেন আরেফ। জানতে পারেন, যে পরিবারের আশ্রয়ে আছেন আরেফ, সেই পরিবারেরই একজন এই খুনের হোতা। কাজেই বিষয়টা চেপে যান তিনি। কিন্তু পরবর্তী সময়ে অন্তর্দ্বন্দ্ব্বে ভুগতে থাকেন একদিকে সত্য প্রকাশ করতে না পারার বেদনা, অন্যদিকে তার আশ্রয় এবং শিক্ষকতার পেশাটা হারানোর ভয়। এই শিক্ষক শুধু যে একটা হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে অবগত তা নয়, হত্যাকারীর অনুরোধে লাশ গুম করার কাজেরও সহযোগী। গ্রামীণ সমাজ, সমাজের মানুষ, শ্রেণি, ধর্ম ও ক্ষমতাকেন্দ্রিক ঠুনকো বিচার ও প্রশাসনব্যবস্থার এক কুশলী আখ্যান উঠে এসেছে এই উপন্যাসে।
‘চাঁদের অমাবস্যা’-তে আসাদুজ্জামান নূর ছাড়াও বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন ইরেশ যাকের, তনয়, দিপান্বিতা মার্টিন, শাহানাজ সুমিসহ বেশ কিছু শিশুশিল্পী।
রাজশাহীর সময়/এমজেড