ছোট্ট দুটি আমলে মহান আল্লাহ বান্দাকে যে কোনো অমঙ্গল বা ক্ষতি থেকে মুক্ত রাখেন। সহজ আমল দুটি হলো পাপাচার বা গুনাহ করা থেকে বিরত থাকা আর আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষা করা। কোরআন-সুন্নাহর অনেক স্থানে এ দুই আমলের ব্যাপারে দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আল্লাহর ক্ষতি বা অমঙ্গল থেকে বাঁচার সেসব দিকনির্দেশনাগুলো কী?
হজরত জাবির রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলতে শুনেছি, কোনো ব্যক্তি (আল্লাহর কাছে) কোনো কিছু প্রার্থনা করলে আল্লাহ তাআলা তাকে তা দান করেন। অথবা তদানুযায়ী তার থেকে কোনো অমঙ্গল বা ক্ষতি প্রতিহত করেন। যতক্ষণ সে কোনো পাপাচারে লিপ্ত না হয় বা আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন করার জন্য দোয়া না করে।’ (তিরমিজি)
কোরআনুল কারিমে ঘোষণাও এমনই। মানুষের যে কোনো চাওয়াই মহান আল্লাহ তাআলা নিজ অনুগ্রহে পরিপূর্ণ করে দেন। আল্লাহ তাআলা বলেন, ’তোমরা আমাকে ডাক, আমি তোমাদের ডাকে সাড়া দেব।’ তবে দুটি কাজ করলে আল্লাহ তাআলা বান্দার কোনো প্রার্থনা কবুল করেন না। তাহলো-
১. পাপের কাজ করা কিংবা পাপ কাজ থেকে বিরত থাকতে আল্লাহর সাহায্য প্রার্থনা করে না।
২. আত্মীয়তার সুসম্পর্ক নষ্ট করা কিংবা আত্মীয়তার সম্পর্ক বজায় রাখতে আল্লাহর কাছে সাহায্য প্রার্থনা করে না।
দোয়া বা প্রার্থনাকারী যত বেশি আল্লাহর কাছে দোয়া করবে, ক্ষমা চাইবে, রহমত কামনা করবে, আল্লাহর গুণগাণ গাইবে, ওই বান্দার জন্য তত বেশি উপকারিতা। কেননা বান্দা যা চায়, তার চেয়েও বেশি দান করেন। তার দানের কোনো সীমা-সংখ্যা নেই। হাদিসের বর্ণনাও তা উঠে এসেছে-
হজরত উবাদা ইবনু সামিত রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত হাদিসে আরো এসেছে যে, উপস্থিত লোকদের একজন বললো- আমরা খুব বেশি বেশি দোয়া করতে পারি। নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, ‘আল্লাহ তাআলা তার চেয়েও বেশি বেশি দানকারী বা কবুলকারী।’ (তিরমিজি)
মুমিন মুসলমানের উচিত, পাপাচার থেকে বিরত থাকা। আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষা করা। তবেই মহান আল্লাহ ওই বান্দাকে যাবতীয় ক্ষতি থেকে রক্ষা করবেন।
আসুন! মহান আল্লাহকে বেশি স্মরণ করি। পাপাচার থেকে বিরত থাকি। আত্মীয়তার সুসম্পর্ক নষ্ট না করি। অন্যায় বা গোনাহের আবদার নিয়ে আল্লাহর স্মরণাপন্ন না হই। তবেই আল্লাহ তাআলা বান্দার সব চাওয়া পরিপূর্ণ করে দেবেন। যাবতীয় অমঙ্গল ও অকল্যাণ থেকে রক্ষা করবেন।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে হাদিসের উপর আমল করার মাধ্যমে দোয়া কবুলের ধরণা দেয়ার তাওফিক দান করুন। দুনিয়া ও পরকালের যাবতীয় ক্ষতি থেকে মুক্ত থাকার তাওফিক দান করুন। আমিন।
রাজশাহীর সময়/এমজেড