২৬ নভেম্বর ২০২৪, মঙ্গলবার, ০৪:৩১:০৯ অপরাহ্ন


নেদারল্যান্ডসে প্রশিক্ষণে গিয়ে বাংলাদেশ পুলিশের দুই সদস্য নিখোঁজ
অনলাইন ডেস্ক :
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৭-০৫-২০২২
নেদারল্যান্ডসে প্রশিক্ষণে গিয়ে বাংলাদেশ পুলিশের দুই সদস্য নিখোঁজ নেদারল্যান্ডসে প্রশিক্ষণে গিয়ে বাংলাদেশ পুলিশের দুই সদস্য নিখোঁজ


নেদারল্যান্ডসে প্রশিক্ষণ নিতে গিয়ে নিখোঁজ হয়েছেন বাংলাদেশ পুলিশের দুই সদস্য। ৮ সদস্যের টিমের বাকি ৬ জন দেশে ফিরলেও ওই দুইজন ফেরেননি।

পুলিশ সূত্র জানায়, চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশে ডগ স্কোয়াড গঠনের জন্য নেদারল্যান্ডসে প্রশিক্ষণ নিতে পাঠানো হয়েছে পুলিশের ৮ সদস্যকে।

চট্টগ্রামের পুলিশ কমিশনার সালেহ মোহাম্মদ তানভীর গণমাধ্যমকে বলেছেন, যে আটজনকে প্রশিক্ষণে পাঠানো হয়েছিল, তাদের মধ্যে ছয়জন মঙ্গলবার দেশে ফিরলেও দুজন আসেননি।

এই দুই পুলিশ সদস্য হলেন, কনস্টেবল মো. শাহ আলম এবং কনস্টেবল রাসেল চন্দ্র দে। ফিরতি ফ্লাইটের আগের দিন তারা হোটেল থেকে বেরিয়েছিলেন। সঙ্গীরা তাদের আর কোনো খোঁজ পাননি।

পুলিশ কমিশনার সালেহ মোহাম্মদ তানভীর বলেন, তাদের বিষয়ে পুলিশ সদর দপ্তরে ‘মিসিং রিপোর্ট’ করা হয়েছে।

ডগ স্কোয়াড গঠনের জন্য গত বছরের মাঝামাঝি সময়ে পুলিশ সদর দপ্তরে একটি প্রস্তাব পাঠায় চট্টগ্রাম নগর পুলিশ। স্কোয়াডে দুই প্রজাতির বেশ কিছু কুকুর রাখার কথা বলা হয় সেখানে।

কুকুর সরবরাহ এবং প্রশিক্ষণের দায়িত্ব পায় মেসার্স রিফা এন্টারপ্রাইজ নামের একটি ঠিকাদার কোম্পানি। সে অনুযায়ী ‘ম্যানেজমেন্ট, হ্যান্ডলিং অ্যান্ড ট্রেইনিং অব ডগ’ বিষয়ে প্রশিক্ষণ নিতে গত ৯ মে আট সদস্যের প্রতিনিধি দলটি নেদারল্যান্ডসে যায়।

চট্টগ্রামের সহকারী পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেনের নেতৃত্বে ওই দলে ছিলেন একজন এসআই (সশস্ত্র), একজন নায়েক এবং পাঁচজন কনস্টেবল।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড পিআর) মো.কামরুজ্জামান।

শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টায় তিনি বলেন, ৮ জনকে প্রশিক্ষণে পাঠানো হয়েছিল, তাদের মধ্যে ৬ জন মঙ্গলবার দেশে ফিরলেও দুজন আসেননি।

তারা স্বেচ্ছায় ফিরে আসেননি নাকি তাদের কোনো সমস্যা হয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, তারা দুজন অবশ্যই মিসিং। এখন তারা নিজে থেকে ফিরে আসেননি নাকি তাদের কোনো সমস্যা হয়েছে সে বিষয়ে ক্ষতিয়ে দেখা হচ্ছে। পুলিশ সদর দপ্তর থেকে তাদের পরিবারের সাথে যোগাযোগ করা হচ্ছে। তারা পরিবারের সাথে কোনো যোগাযোগ করেছে কিনা। যদি করে তাহলে পুলিশের সাথে পরিবারকে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।