২৫ নভেম্বর ২০২৪, সোমবার, ০২:৫০:২০ অপরাহ্ন


অগ্রাধিকারমূলক সুবিধা অব্যাহত রাখতে জাপান ও ওইসিডির সহযোগিতা চাইলেন প্রধানমন্ত্রী
অনলাইন ডেস্ক :
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৭-০৫-২০২২
অগ্রাধিকারমূলক সুবিধা অব্যাহত রাখতে জাপান ও ওইসিডির সহযোগিতা চাইলেন প্রধানমন্ত্রী অগ্রাধিকারমূলক সুবিধা অব্যাহত রাখতে জাপান ও ওইসিডির সহযোগিতা চাইলেন প্রধানমন্ত্রী


২০২৯ সাল পর্যন্ত অগ্রাধিকারমূলক সুবিধা অব্যাহত রাখতে জাপান এবং অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও উন্নয়ন সংস্থার (ওইসিডি) দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাংলাদেশকে সহজে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তোরণে এবং ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে এ আহ্বান জানানো হয়।

শুক্রবার (২৭ মে) এশিয়ার ভবিষ্যত বিষয়ক ২৭তম আন্তর্জাতিক নিক্কেই সম্মেলনে এক ভিডিও বার্তায় তিনি এ আহ্বান জানান।

দুই দিনব্যাপী এ সম্মেলন জাপানের রাজধানী টোকিওতে স্ট্রিমিং এবং অন-সাইট উপস্থিতি উভয় ক্ষেত্রেই অনুষ্ঠিত হচ্ছে। কারণ, অনুষ্ঠানটি এ বছরের সম্মেলনের সঙ্গে হাইব্রিড বিন্যাসে হচ্ছে। যার শিরোনাম হচ্ছে ‘বিভক্ত বিশ্বে এশিয়ার ভূমিকা পর্যালোচনা করা।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা গভীরভাবে কৃতজ্ঞ থাকব, যদি জাপান এবং অন্যান্য ওসিডির দেশগুলো কমপক্ষে ২০২৯ সাল পর্যন্ত অগ্রাধিকার সুবিধা প্রসারিত করে। যাতে ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়নের সর্বোচ্চ লক্ষ্য অর্জন আমাদের পক্ষে সম্ভব হয়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ ২০২৬ সালে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়ার স্নাতক অর্জন করে জাতিসংঘের স্বীকৃতি পেয়েছে। আমরা ইতোমধ্যে সুষ্ঠুভাবে স্নাতক অর্জনে বিভিন্ন ব্যবস্থা নিচ্ছি।’

তিনি বলেন, জাতিসংঘের প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বন্ধুদেশ ও অংশীদারদের প্রতি ২০২৬ সালের পরও বর্ধিত সময়ের জন্য বাংলাদেশকে অগ্রাধিকারমূলক সুযোগ-সুবিধা বাড়ানোর কথা বিবেচনা করার আহ্বান জানানো হচ্ছে।

ভবিষ্যৎ এশিয়া গড়ার জন্য সম্মেলনে পাঁচটি ধারণা শেয়ার করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আপনাদের প্রতিফলনের জন্য কিছু ধারণা শেয়ার করে শেষ করছি।’

প্রথম প্রস্তাবে তিনি বলেন, এশিয়ার দেশগুলোকে একে অপরের প্রতি বন্ধুত্ব, বোঝাপড়া ও সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে হবে। বিভাজন মোকাবেলায় সংহতি প্রচার করতে হবে।

দ্বিতীয় ও তৃতীয় প্রস্তাবে সরকার প্রধান বলেন, ‘কীভাবে আইসিটির সফ্ট পাওয়ারকে আমাদের দেশ এবং এশীয় দেশগুলো ন্যায্যতা, সম্মান, ন্যায়বিচার, অন্তর্ভুক্তি, অন্তর্ভুক্তি রক্ষার প্রয়োজনীয়তার মধ্যকার ব্যবধান পূরণের জন্য শক্তিশালী হাতিয়ার হিসেবে সর্বোত্তমভাবে ব্যবহার করতে পারে। আমাদের কাজের মধ্যে সমতা আনয়ন করতে পারে এবং তারা তা অন্বেষণ করতে পারে।’

চতুর্থ ও পঞ্চম ধারণার বর্ননা করার সময় প্রধানমন্ত্রী অভিমত ব্যক্ত করেন, এশিয়ার ভবিষ্যত নির্ভর করবে টেকসই ও ভারসাম্যপূর্ণ উন্নয়ন, আন্তর্জাতিক শৃঙ্খলার উন্নতি, উভয় পক্ষের জন্য সুবিধাজনক আন্তর্জাতিক সম্পর্ক স্থাপনের পর, এশিয়ার দেশগুলোর অভিন্ন উন্নয়ন চ্যালেঞ্জ রয়েছে এবং তাদের তা ঐক্যবদ্ধভাবে ও সম্মিলিতভাবে মোকাবেলা করা উচিত।