লক্ষ্মীপুরে একই পরিবারের ১০ সদস্যকে অচেতন করে নগদ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার লুটের অভিযোগ উঠেছে। অচেতন অবস্থায় তাদের সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৬ মে) রাত ১০টার দিকে সদর উপজেলার মান্দারী ইউনিয়নের দক্ষিণ মটুবী গ্রামের দাশ বাড়ির কানু লাল দাসের বড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
অসুস্থ ১০ সদস্য হলেন- কানু লাল দাস (৯০), কমলা রানী দাস (৭৫), রবি দাস (৪৮), সমীর দাস (৪৪), অংকর দাস (১৪), অহনা দাস (১২), নারায়ন দাস (৭৫), লক্ষ্মী রানী দাস (৬৫), তিমু রানী দাস (২৮) ও কান্তি লাল দাস (৭৫)।
ভুক্তভোগী পরিবারের স্বজনরা জানান, প্রতিদিনের মতো রাতের খাবার খেয়ে সবাই ঘুমাতে যান। ঘুমের মধ্যেই তারা অচেতন হয়ে পড়েন। রাতের কোনো একসময় একজন মোটামুটি স্বাভাবিক হন। অন্যদের ঘুম থেকে জাগানোর চেষ্টা করেও সম্ভব হয়নি। কারও কানে-গলায় স্বর্ণালঙ্কার না দেখে চিৎকার চেঁচামেচি করেন তিনি। খবর পেয়ে শুক্রবার ভোর ৪টার দিকে ঘটনাস্থল থেকে তাদের উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করে পুলিশ।
সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক আরমান হোসেন জানান, অসুস্থ ব্যক্তিদের ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এরমধ্যে দুজন বেশি অসুস্থ। তবে কী কারণে তারা অসুস্থ হয়েছে তা এখনো জানা যায়নি। ২৪ ঘণ্টা পর কারণ জানা যাবে।
কানু লাল দাশের বড় ছেলে খাবার হোটেলের শ্রমিক রতন দাস বলেন, ‘আমি রাতে হোটেলে ছিলাম। খবর পেয়ে বাড়িতে ছুটে যাই। কেউ খাবারের সঙ্গে নেশা জাতীয় দ্রব্য মিশিয়ে দিয়েছে। সেই খাবার খেয়ে আমার বাবাসহ পরিবারের সদস্যরা অসুস্থ হয়ে পড়ে। ঘরে থাকা নগদ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কারসহ প্রায় ৮ লাখ টাকার মালামাল লুটে নিয়েছে দুর্বৃত্তরা।’
চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোসলেহ উদ্দিন জানান, ঘটনাস্থল থেকে অসুস্থদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। স্বর্ণালঙ্কার ও টাকা লুটের ঘটনাটি তদন্তাধীন রয়েছে। অসুস্থ ব্যক্তিরা স্বাভাবিক হলে তাদের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রাজশাহীর সময়/এমজেড