সাধারণত মাঙ্কি পক্সের ফলে মৃত্যুর সংখ্যা থাকে এক থেকে ১০ শতাংশের মধ্যে।
ইতিমধ্যেই বিশ্বের ২০টি দেশে মাঙ্কি পক্স ছড়িয়েছে। এখনও করোনার আতঙ্ক পুরোপুরি যায়নি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বারবার আশঙ্কা প্রকাশ করছে যে করোনা ফিরতে পারে। সেজন্য সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে মাস্ক পরার মতো নির্দেশিকাগুলো মানা প্রয়োজন। তার মধ্যেই মাঙ্কি পক্সের খবরে স্বভাবতই গোটা বিশ্বে উদ্বেগ বেড়েছে। আর, এই কারণেই অনেকের প্রশ্ন, মাঙ্কি পক্স আর করোনা কি একসঙ্গে হতে পারে? একই সময়ে কি সংক্রমণ ঘটাতে পারে এই দুটি ভাইরাস? বিশেষজ্ঞরা এক্ষেত্রে বলছেন, অত আশঙ্কা প্রকাশ না-করতে। কারণ, মাঙ্কি পক্সের করোনার মত ছড়ানোর সম্ভাবনা কম। মাঙ্কি পক্স যে পদ্ধতিতে ছড়ায়, সেই পদ্ধতির কথা মাথায় রেখেই এমনটা বলছেন বিশেষজ্ঞরা।
এই ব্যাপারে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার স্মলপক্স বিভাগের প্রধান ডা. রোজামুন্ড লুইস জানিয়েছেন, ‘আমাদের লক্ষ্য, এর প্রাদুর্ভাবকে ঠেকানো। মাঙ্কি পক্স যাতে ছড়াতে না-পারে, তার ব্যবস্থা করাই আমাদের উদ্দেশ্য। প্রাথমিকভাবে আমরা এই ভাইরাস এবং এর সংক্রমণের গতিপ্রকৃতি সম্পর্কে যা জানি, তাতে মনে হচ্ছে সাধারণ মানুষের মধ্যে এই রোগ ব্যাপকহারে ছড়ানোর সম্ভাবনা কম।’ কিন্তু, সাধারণ মানুষের মূল প্রশ্ন হচ্ছে, মাঙ্কি পক্স আর করোনা কি একইসঙ্গে একই ব্যক্তির মধ্যে ছড়াতে পারে?
এই ব্যাপারে মুম্বইয়ের বিশিষ্ট চিকিত্সক ডা. সুলেমান লাধানি জানিয়েছেন, ‘মাঙ্কি পক্স এবং করোনা একই ব্যক্তির মধ্যে ছড়াতে পারে। তবে, দুটো ভিন্ন ধরনের ভাইরাস। আর, তেমনটা হলে ব্যাপারটা বেশ ক্ষতিকর। কারণ, সাধারণত মাঙ্কি পক্সের ফলে মৃত্যুর সংখ্যা থাকে এক থেকে ১০ শতাংশের মধ্যে। কিন্তু, করোনা যেহেতু ইমিউনিটি হ্রাস করে। ফলে, একইসঙ্গে দুটি ভাইরাসের সংক্রমণ একই ব্যক্তির মধ্যে ঘটলে বাড়তে পারে মৃত্যুর সংখ্যা। পাশাপাশি, রোগীর শরীরে দুটি ভাইরাস থাকলে, তা নির্ণয় করাও চিকিত্সকদের কাছে কঠিন হয়ে উঠতে পারে। এর ফলে রোগীর চিকিত্সাতেও যেমন দেরি হওয়ার সম্ভাবনা। তেমনই ঘটতে পারে ভয়ানক বিপদ।’