প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের মিছিল ঘিরে মারপিট বেঁধে গেছে পাকিস্তানে। শুধু ইসলামাবাদ নয় একাধিক জায়গায় মিছিল করেছেন ইমরানের দল তেহেরিক-ই-ইনসাফের কর্মী সমর্থকরা। ইসলামাবাদা, রাওলপিণ্ডি, করাচি, লাহোর, খাইবার পাখতুনওয়া সহ একাধিক জয়গায় মিছিলে হামলা চলেছে বলে অভিযোগ। পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয়েছে সমর্থকদের। জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে গাড়ি।
ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি ভেঙে দিয়ে নতুন করে ভোটের দাবিতে মঙ্গলবার খাইবার-পাখতুনখোয়ার রাজধানী পেশোয়ার থেকে ইসলামাবাদের ডি-চকের উদ্দেশে ‘আজাদি মার্চ’ শুরু হয় । নতুন করে নির্বাচনের দাবিতে ইসলামাবাদের পথে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন ইমরান খানের সমর্থকরা। অশান্তি এড়াতে শাহবাজ সরকার ইমরানের কর্মসূচির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল। কিন্তু বুধবার পাক সুপ্রিম কোর্ট ইসলামাবাদের প্রান্তে পেশোয়ার মোড়ে সমাবেশের অনুমতি দেয় ইমরানের দলকে। এরপরেই অশান্তি শুরু হয়ে যায়।
শাহবাজ সরকারের বক্তব্য, তেহরিক ই ইনসাফ মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়াতে চায়। ৬৯ বছর বয়সী ইমরান গত শনিবার দলীয় সমর্থকদের উদ্দেশে আহ্বান জানান, ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি ভেঙে ফের ভোট করার দাবিতে আগামী ২৫ মে ইসলামাবাদে চলুন। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ বলেন, ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি তার মেয়াদ পূর্ণ করবে। ভোট হবে আগামী বছর। শাহবাজ শরিফের নেতৃত্বে জোট সরকার প্রথমে ইমরানের ‘আজাদি মার্চ’-এর অনুমতি দিয়েছিল। কিন্তু মঙ্গলবার জানায়, আইনশৃঙ্খলা ভঙ্গের আশঙ্কায় অনুমতি প্রত্যাহার করা হল।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই পাকিস্তানের বিভিন্ন শহরে ইমরানের দলের সমর্থকদের ধরপাকড় শুরু করে পুলিশ। লাহোরে যে কোনও জমায়েত নিষিদ্ধ করার জন্য ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। রাওয়ালপিন্ডি, করাচি ও ইসলামাবাদেও জমায়েত নিষিদ্ধ করা হয়েছে।