জাপানে আসছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। সেখানে তিনি কোয়াড গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলির বৈঠকে অংশ নেবেন। একই উদ্দেশ্যে এদিন জাপানে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ভারতীয়-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চিনের আগ্রাসন ঠেকানোর জন্যই কোয়াড গোষ্ঠীর সৃষ্টি হয়েছে। তার বৈঠকের আগে চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই বললেন, আমেরিকার ভারতীয়-প্রশান্ত মহাসাগরীয় কৌশল ব্যর্থ হবেই।
রবিবার পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী বিলাবল ভুট্টোর সঙ্গে দেখা করেন ওয়াং। তার পরে তিনি বলেন, “আগামী দিনে প্রমাণিত হবে, বিভিন্ন দেশের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি করার জন্যই আমেরিকার ঐ কৌশল তৈরি হয়েছিল। তারা শান্তিভঙ্গ করতে চায়।”
আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হওয়ার পরে প্রথমবার এশিয়ায় এলেন বাইডেন। তিনি দক্ষিণ কোরিয়ার নব নির্বাচিত নেতা ইউন সুক ইয়েওল-এর সঙ্গে দেখা করেছেন। সোমবার তাঁর সঙ্গে জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদার বৈঠক হবে। শীঘ্রই ভারতীয়-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের জন্য বিশেষ ‘আর্থিক ফ্রেমওয়ার্ক’ ঘোষণা করবেন বাইডেন। মূলত পরিবেশবান্ধব শক্তি উৎপাদন, কার্বন নিঃসরণ কমানো, পরিকাঠামো নির্মাণ, কর ব্যবস্থা ও দুর্নীতি দমন নিয়ে বিশেষ ব্যবস্থার কথা বলা হবে ওই ‘ফ্রেমওয়ার্কে’। ঠিক কোন দেশগুলিকে ওই আর্থিক ফ্রেমওয়ার্কের অঙ্গীভুত করা হবে এখনও জানানো হয়নি। গত সপ্তাহে আমেরিকার ৫০ জন সেনেটর বাইডেনের কাছে আর্জি জানান, ওই ফ্রেমওয়ার্কের মধ্যে তাইওয়ানকে নেওয়া হোক।
গত সপ্তাহে ব্যাংককে তাইওয়ানের মন্ত্রী জন দেং-এর সঙ্গে কথা বলেন আমেরিকার বাণিজ্য সচিব ক্যাথেরিন তাই। তাঁরা দুই দেশের মধ্যে আরও ঘনিষ্ঠ বাণিজ্যিক সম্পর্ক গড়ে তোলার ব্যাপারে কথা বলেছেন। এর পরে বেজিং কার্যত হুমকি দিয়ে বলেছে, ভুল পথে পা বাড়াচ্ছে আমেরিকা।