বন্যার পানির নিচে রয়েছে বিস্তীর্ণ এলাকার রেলপথ। বরাক উপত্যকার অসম, মণিপুর, মিজোরাম, ত্রিপুরা এই এলাকার অন্তর্বর্তী। সেখানে অসমের বন্যার জেরে এই গোটা এলাকার রেলযোগ বিঘ্নিত হয়েছে। বিচ্ছিন্ন হয়েছে রেল যোগাযোগ। অসমে বর্ষণের জেরে ধসের কারণে এই পরিস্থিতি।
এদিকে, অসম বিপর্যস্ত হতেই ত্রাস সংলগ্ন রাজ্যগুলিতে। সেখানে খাবারের যোগান থেকে ওষুধের সরবরাহ সহ বিভিন্ন বিষয় নির্ভর করে এই রেলপথের উপর। এদিকে জ্বালানি মজুত রাখা নিয়ে উদ্বেগে মিজোরাম ও ত্রিপুরা। দুই রাজ্য ইতিমধ্যেই পেট্রোলিয়াম প্রোডাক্ট 'রেশন' করতে শুরু করেছে। মিজোরামের সরকারি সূত্রের দাবি, আপাতত সেখানে কোনও কমতি নেই জ্বালানির। তবে চাহিদা যদি বন্যার কারণে বাড়তে থাকে, তা নিয়েই উদ্বেগে প্রশাসন। মিজোরামের প্রশাসন সূত্রে বলা হচ্ছে, যদি মানুষ তাড়াহুড়ো করে জ্বালানি মজুত করতে তৎপর হয়ে ওঠেন বা জ্বালানির কালোবাজারি শুরু হয়ে যায়! সেই ভাবনা থেকেই মিজোরাম সরকার জ্বালানি রেশন করার নির্দেশ দিয়েছে পেট্রোল পাম্পগুলিকে। এদিকে, ত্রিপুরার প্রশাসনের তরফে তপনকুমার দাস জানিয়েছেন,'ত্রিপুরার কাছে মজুত রয়েছে উপযুক্ত পরিমাণ অত্যাবশ্যকীয় পণ্য। যার মধ্যে রয়েছে জ্বালানিও।' ত্রিপুরা আশাবাদী রেল যোগাযোগ খুব শিগগির স্থাপিত হবে।
এদিকে, অসমের বন্যার জেরে রেল যোগাযোগ ব্যাপকভাবে স্তব্ধ হতেই সমস্ত জিনিসের দাম বাড়তে শুরু করেছে। বিমানের টিকিটের ভাড়া যেমন বেড়েছে তেমনই নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বাড়তে শুরু করেছে সেখানে। জানা গিয়েছে বন্য়ায় এখনও পর্যন্ত ৩৩ হাজার হেক্টর জমিতে নষ্ট হয়েছে ফসল। ২৬ জেলার ৪ লাখ মানুষ সেখানে বিধ্বস্ত পরিস্থিতির শিকার। ১৩ টি জেলায় তৈরি হয়েছে ৮৯ টি ত্রাণ শিবির।