পাকিস্তানের উত্তরপশ্চিমাঞ্চলীয় পার্বত্য প্রদেশ খাইবার পাখতুনওয়ার উত্তর ওয়াজিরিস্তান জেলায় আত্মঘাতী বোমা হামলা ঘটেছে। এতে নিহত হয়েছে তিন জন শিশু ও তিন সেনাসদস্য।
পৃথক এক হামলায় একই রাজ্যের রাজধানী পেশোয়ারে নিহত হয়েছেন দেশটির সংখ্যালঘু শিখ সম্প্রদায়ের দুই ব্যক্তি।
পাকিস্তানের সেনাবাহিনী থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়, রোববার উত্তর ওয়াজিরিস্তানের আফগানিস্তান সীমান্ত সংলগ্ন শহর মির আলির কাছে একটি গ্রামে সেনাবাহিনীর টহলরত একটি গাড়িকে লক্ষ্য করে আত্মঘাতী বোমা হামলা হয়েছে। এ সময় ওই সড়কের পাশে ফাঁকা জাগায় খেলছিল তিনজন শিশু।
হামলায় দুই সেনাসদস্য ঘটনাস্থলেই নিহত হন, গুরুতর আহত হন বাকি এক সেনা সদস্যসহ ওই তিন শিশু। আহতদের দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও কাউকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি বলে উল্লেখ করা হয়েছে সেনাবাহিনীর বিবৃতিতে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, হামলাকারী নিজের শরীরে বাঁধা বিস্ফোরক লাদেন ভেস্টের মাধ্যমে হামলা চালিয়েছে। কারা এই হামলা চালিয়েছে, এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠী এখন পর্যন্ত এ ঘটনার দায় স্বীকারও করেনি।
এদিকে, একই দিন খাইবার পাখতুনওয়া প্রদেশের রাজধানী পেশোয়ারের বাট্টা তাল বাজার এলাকায় বন্দুক হামলায় নিহত হয়েছেন পাকিস্তানের সংখ্যালঘু শিখ সম্প্রদায়ের দুই ব্যক্তি। নিহতদের নাম রণজিৎ সিং (৩৮) ও কানওয়ালজিৎ সিং (৪২)।
পেশোয়ারের পুলিশ কর্মকর্তা এজাজ খান বার্তাসংস্থা এপিকে জানান, বাট্টা তাল বাজার এলাকায় মসলার দোকান ছিল রণজিৎ ও কানওয়ালজিতের। রোববার সকালে তারা যখন দোকান খুলছেন, সে সময় মোটর সাইকেলে করে ২ ব্যক্তি সেখানে আসে এবং তাদের মধ্যে একজন তাদের লক্ষ্য করে কয়েক রাউন্ড গুলি ছোড়ে।
গুলি ছোড়ার পরই ঘটনাস্থল ত্যাগ করে হামলাকারীরা। এই ঘটনার দায়ও এখন পর্যন্ত কোনো গোষ্ঠী স্বীকার করেনি।
এজাজ খান জানিয়েছেন, পাকিস্তানে ধর্মীয় সংখ্যালঘু হওয়ার কারণেই খুন হয়েছেন রণজিৎ ও কানওয়ালজিৎ। হামলাকারীদের ধরতে ইতোমধ্যে পুলিশী অভিযান শুরু হয়েছে বলেও এপিকে উল্লেখ করেছেন এজাজ।
রাজশাহীর সময়/জেড