২৪ নভেম্বর ২০২৪, রবিবার, ১১:৪৭:৩৫ অপরাহ্ন


বম্বে হাইকোর্টের বিতর্কিত রায়, ১৪ বছরের কিশোরের গোপনাঙ্গে হাত দেওয়া, ঠোঁটে চুমু খাওয়া ‘স্বাভাবিক’!
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৫-০৫-২০২২
বম্বে হাইকোর্টের বিতর্কিত রায়, ১৪ বছরের কিশোরের গোপনাঙ্গে হাত দেওয়া, ঠোঁটে চুমু খাওয়া ‘স্বাভাবিক’! বম্বে হাইকোর্টের বিতর্কিত রায়, ১৪ বছরের কিশোরের গোপনাঙ্গে হাত দেওয়া, ঠোঁটে চুমু খাওয়া ‘স্বাভাবিক’!


১৪ বছরের কিশোরকে যৌন হেনস্থার অভিযোগ উঠেছিল এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। কিশোরের পরিবারের দাবি ছিল, তার গোপনাঙ্গে হাত দেয় অভিযুক্ত। তার ঠোঁটে চুমুও খায়। এই মামলায় অভিযুক্তকে জামিন দিল বম্বে হাইকোর্ট। বিচারপতি রায় দেওয়ার সময়ে জানালেন, ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৭ ধারা মোতাবেক ১৪ বছরের কিশোরের ঠোঁটে চুমু খাওয়া ও গোপনাঙ্গে হাত দেওয়াকে অস্বাভাবিক যৌনতার পর্যায়ে ফেলা যায় না!

এক বছর আগে পেশায় দোকানদার ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হওয়ার পর থেকে সে জেলবন্দি ছিল। অবশেষে জামিন পেল সে। তাকে জামিন দিয়েছেন বম্বে হাইকোর্টের বিচারপতি অনুজা প্রভুদেশাই। তিনি বিবৃতিতে বলেন, ‘আক্রান্তের বিবৃতি ও এফআইআরে বর্ণিত বিবরণ থেকে জানা যাচ্ছে, আক্রান্তের গোপনাঙ্গ স্পর্শ ও তার ঠোঁটে চুমু খেয়েছিলেন অভিযুক্ত। আমার মতে, প্রাথমিক বিচারে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৭ ধারায় এটিকে অপরাধ হিসেবে গণ্য যায় না।’

কিশোরের পরিবারের তরফে দায়ের করা এফআইআর থেকে জানা গেছে, ওই কিশোরের বাবা হঠাৎই একদিন দেখেন আলমারি থেকে বেশ কিছু টাকা উধাও। পরে তাঁর ছেলে স্বীকার করে, ওই টাকা সে দিয়েছে অভিযুক্তকে। অভিযুক্তর দোকানে সে যেত অনলাইন গেম রিচার্জ করতে। সেখানেই অভিযুক্ত দোকানদার তার যৌন হেনস্থা করে বলেও সে বাবাকে জানায়।

এর পরেই পুলিশের দ্বারস্থ হন কিশোরের বাবা। পকসো আইন ও ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৭ ধারায় মামলা রুজু করেন তিনি। গ্রেফতারও করা হয় অভিযুক্তকে। কিন্তু এক বছর পরে ৩০ হাজার টাকার বিনিময়ে তাকে জামিন দিলেন বিচারপতি। বিচারপতি এ প্রসঙ্গে আরও জানান, গত এক বছর ধরেই কারাবন্দি রয়েছে অভিযুক্ত। বিচার প্রক্রিয়া এখনও শুরু করা যায়নি। নিগৃহীত কিশোরের মেডিক্যাল টেস্টের রিপোর্টও আবার অভিযোগের সঙ্গে মিলছে না। তাই তিনি জামিন দিচ্ছেন অভিযুক্তকে।

প্রসঙ্গত, ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৭ ধারায় রয়েছে, আপত্তি সত্ত্বেও যে কোনও রকমের অস্বাভাবিক শারীরিক মিলন কিংবা যে কোনও যৌন আচরণই দণ্ডণীয় অপরাধ। দোষীর সর্বোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। পাশাপাশি, সহজে জামিন মেলেও না।

কিন্তু এই ঘটনার ক্ষেত্রে বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, ঘটনাটি ১৪ বছরের কিশোরের ঠোঁটে চুমু খাওয়া ও গোপনাঙ্গে হাত দেওয়াকে অস্বাভাবিক যৌনতার পর্যায়ে ফেলা যায় না!