২২ নভেম্বর ২০২৪, শুক্রবার, ০৪:২৪:২৭ পূর্বাহ্ন


সিংড়ার বিয়াশ মেলায় বৃষ্টির মধ্যেও দর্শনার্থীদের ভীড় ছিল জমজমাট
সৌরভ সোহরাব, সিংড়া (নাটোর) প্রতিনিধিঃ
  • আপডেট করা হয়েছে : ১১-০৫-২০২২
সিংড়ার বিয়াশ মেলায় বৃষ্টির মধ্যেও দর্শনার্থীদের ভীড় ছিল জমজমাট সিংড়ার বিয়াশ মেলায় বৃষ্টির মধ্যেও দর্শনার্থীদের ভীড় ছিল জমজমাট


আজ বুধবার(১১মে) বউ মেলার মধ্য দিয়ে শেষ হচ্ছে নাটোরের সিংড়া উপজেলার ২ নং ডাহিয়া ইউনিয়নের বিয়াশ শিবশংকরের মেলা। গতকাল মঙ্গলবার ছিল মুল মেলা। সকাল থেকেই আকাশ মেঘাছন্ন ছিল। থেমে থেমে পড়েছে বৃষ্টি। বৈরী আবহাওয়া ছিল সারাদিনই। তার পরেও জমে উঠেছিল বিয়াশ মেলা।

বৃষ্টি উপেক্ষা করে মানুষ মেলায় আসছিল। দর্শনার্থীদের ভীড় ছিল জমজমাট। বেচা কেনাও হয়েছে প্রচুর। এ বছরের মেলায় প্রচুর দেশি প্রজাতির বড় মাছ উঠেছিল। ৭ থেকে ৮ কেজি ওজনের বড় কাতল বিক্রয় হয়েছে ৪ থেকে সাড়ে ৪ শত টাকা কেজি। ৬ থেকে ৭ কেজি ওজনের ব্রিগেড মাছ বিক্রয় হয়েছে ২৬০ থেকে ২৮০ টাকা কেজি। মেলার মিষ্টি বিক্রয় হয়েছে ১৬০ টাকা থেকে ১৮০ টাকা কেজি। ঝুরি ১২০ টাকা থেকে ১৪০ টাকা এবং আগাম জাতের ১০০ টি লিচু বিক্রয় হয়েছে ১৮০ থেকে ২০০ টাকায়। এছাড়া খাসির মাংস সাড়ে ৮ শত টাকা, গরুর মাংস ৬ শত থেকে ৬ শত ২০ টাকা এবং মহিষের মাংস বিক্রয় হয়েছে ৬ শত ৫০ টাকা কেজি।

বৃষ্টির মধ্যে বিক্রি ভালো হলেও মেলায় অতিরিক্ত খাজনা আদায়ের অভিযোগ তুলেছেন কেউ কেউ।

অতিরিক্ত খাজনা আদায়ের বিষয়টি জানতে চাইলে স্থানীয় ৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি সাইফ মাহমুদ ও ২ নং ডাহিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সিরাজুল মজিদ মামুন জানান, এ্যসিল্যান্ড অফিস থেকে চড়া মুল্যে এই মেলা ডাক হওয়ায় মেলায় আগত খুদে ব্যবসায়িকদের উপর অতিরিক্ত খাজনার এই প্রভাব পড়ছে। আমরা প্রতিমন্ত্রী মহোদয়ের সহযোগিতা নিয়ে আগামীতে চেষ্টা করবো যাতে মেলাটি স্থানীয়ভাবে ডাকা হয়।

প্রায় ৪ দশকের কাছা কাছি সময় ধরে বৈশাখের শেষ মঙ্গলবারে বিয়াশের এই মেলা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। ১ দিন ব্যাপী এ মেলা অনুষ্ঠিত হলেও এ মেলার উৎসব হয় ৩ দিন ব্যাপী। গত ২ বছর মহামারী করোনায় বন্দ থাকা পর এবারের মেলা অনুষ্ঠিত হওয়ায় মেলাবাসীদের মধ্যে উৎসব উৎসব ভাব বিরাজ করছিল। অনেকেই মেয়ে জামাই বাড়িতে নিয়ে এই মেলার উৎসব পালন করেছে।

বিয়াশ গ্রামের সন্তান লেখক,কবি ও সাংবাদিক জুলহাজ কায়েম বলেন, আমাদের এই বিয়াশ মেলার নাম শিবশংকর হলেও মুলত এ মেলা সকল ধর্ম ও সকল শ্রেণি মানুষের প্রাণের উৎসব।

বিয়াশ গ্রাম ছাড়াও আশে পাশের ১০ থেকে ১৫ টি গ্রামের মানুষ প্রতি বছর জামাই ঝি নিয়ে এই মেলা উৎসব পালন করে।

গ্রামীণ লোকজ সংস্কৃতির এক বড় অংশ জুড়ে আছে গাঁও গ্রামের এসব মেলা। চলনবিলের অন্যতম কয়েকটি মেলার মধ্যে বিয়াশ একটি। বিয়াশের মেলা হোক সকল ধর্ম বর্ণ এবং সকল শ্রেণি মানুষের প্রাণের উৎসব এই প্রত্যাশা আমাদের সকলের।