নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের স্ত্রীর গাড়ির চাপায় প্রাণ গেল সোহেল আহমেদ জীবন নামের এক সাংবাদিকের। সোহেল আহমেদ জীবন দৈনিক দুরন্ত সংবাদের সিংড়া উপজেলা প্রতিনিধি এবং সিংড়ার প্রেসক্লাবের সদস্য। সে শেরকোল আগপাড়া বন্দর উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক।
সোমবার ( ৯ মে) সকাল সাড়ে ১০ টায় কর্মস্থল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যাওয়ার পথে এই দুর্ঘটনায় মারা যান তিনি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সরকারী গাড়িটি নলডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুখময় রায়ের স্ত্রী মানসি দত্ত মৌমিতা জোর করে ব্যবহার করতেন। আর সেই জীপ গাড়িতে করে তিনি ভ্রমনে যাবার পথে আনাড়ি ড্রাইভারের বেপরোয়া ড্রাইভিং এর কারনে বিপরীত মুখ থেক আসা মোটর সাইকেল আরোহী সাংবাদিক সোহেল আহমেদ জীবনের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ বাধলে দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হন সোহেল। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্বার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (রামেক) নিয়ে যাওয়ার পথে দুপুর ১ টায় প্রাণ হারান সাংবাদিক জীবন।
বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের সদস্য ও কালেরকন্ঠ শুভ সংঘ সিংড়া উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ছিলেন তিনি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা আরও জানায়, ইউএনওর স্ত্রীর জিপ গাড়ীটি ৮০ হাই স্পিডে নিংঙ্গইন তেল পাম্প এসে মোটর সাইকেলটির মুখোমুখি সংঘর্ষ হলে সাংবাদিক সোহেল সহ মটরসাইকেলটি ধুমড়ে মুচড়ে জীপের নীচে চলে যায়।
নিহত সোহেলের ভাই কাওছার আহমেদ জানান, দুর্ঘটনার পর ওই ইউএনও বারবার আহত সাংবাদিককে দেখতে যাবার কথা বলেও সেখানে পৌঁছাননি ।
বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান আহমেদ আবু জাফর, কেন্দ্রীয় সভাপতি সোহেল আহমেদ ও সম্পাদক শিবলী সাদিক খান।
এলাকাবাসীর অভিযোগ কোন প্রটোকলে সরকারী গাড়ী ব্যবহার করতেন ইউএনওর স্ত্রী? এদিকে বিএমএসএফের পক্ষ থেকে সুষ্ঠ তদন্তের দাবি করে দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাওয়া হয়েছে।