নাটোরের সিংড়া উপজেলার ২নং ডাহিয়া ইউনিয়নের কদমকুড়ি গ্রামে ২০১৩ সালে ছালাম হত্যা মামলার জের ধরে প্রতিপক্ষের হামলায় আব্দুর রাজ্জাক (৬৫) নামে ওই হত্যা মামলার প্রধান আসামীর পায়ের রগ কর্তনের ঘটনা ঘটেছে।
শুক্রবার সন্ধা সাড়ে ৬ টায় কদমকুড়ি মহসিনের বাড়ি সংলগ্ন এই ঘটনা ঘটে।
আহত আব্দুর রাজ্জাক বর্তমান রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। এ ঘটনায় কদমকুড়ি গ্রামে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, কদম কুড়ি গ্রামের মসজিদের একটি পুকুরকে কেন্দ্র করে ২০১৩ সালে গ্রাম্য দ্বন্তে কদমকুড়ি গ্রামের চান্দু ফকিরের ছেলে আব্দুস ছালাম নিহত হয়। এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই বেলাল (৪৫) বাদী হয়ে প্রতিপক্ষ আব্দুল রাজ্জাক, জমসেদ, হানিফ সহ ১৪/১৫ জনকে আসামী করে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এ সব ঘটনায় কমকুড়ি গ্রামের সাধারন মানুষ দু দলে বিভক্ত হয়ে যায়। এরই জের ধরে গত শুক্রবার ( ৫ মে) ছালাম হত্যা মামলার প্রধান আসামী আঃ রাজ্জাক সন্ধা সাড়ে ৬ টায় ডাহিয়া বাজার থেকে কদমকুড়ি গ্রামে ফেরার পথে প্রতিপক্ষের হামলার শিকার হন।
আহত আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে মামুন বলেন, আমার বাবা সহ আমরা কেউ ছালাম হত্যার সাথে জড়িত নই। আমাদেরকে বিনা অপরাধে আসামী করে দিনের পর দিন হয়রানি করা হচ্ছে। শুক্রবার সন্ধায় মানিকের হুকুমে তহিদুল, রবিউল,বাচ্চু সহ ৮/১০ জন দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে আমার বাবার উপর হামলা করে চাইনিচ কুড়াল দিয়ে পায়ের রগ কেটে দেয়। আমি এর সঠিক বিচার চাই।
অভিযুক্ত মানিক হোসেন বলেন, ছালাম হত্যা মামলার ৪ নং সাক্ষি হওয়ায় আসামী পক্ষ আমাকে বার বার হুমকি দেয় যদি সাক্ষি দাও তাহলে প্রাণে মেরে ফেলবো। শুধু আমাকে না ওই মামলার বাদী ও অন্য সাক্ষিদেরও এরকম হুমকি দিয়ে আসছিল। গত ১৩ রমজান আমার ছোট ভাই লিটনকে তারা মারধর করে হাত পা ভেঙ্গে দিয়েছে। ছোট ভাই লিটন এখনও চিকিৎসাধীন আছে।
২ নং ডাহিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সিরাজুল মজিদ মামুন বলেন, কমকুড়ি গ্রামে দুটি পক্ষ থাকায় ছোট বিষয় নিয়েই তাদের মধ্যে চরম উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। কিছু দিন আগে গাছ কাটা নিয়ে বিরোধ হয়েছিল। আমি দুপক্ষকে নিয়ে তা মিমাংস করেছি।
সিংড়া থানা অফিসার ইনচার্জ নুর-এ আলম সিদ্দিকী বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। এখন উভয় পক্ষ শান্ত আছে। কোন পক্ষই লিখিত কোন অভিযোগ করে নাই। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।