তাঁর কণ্ঠে মজে কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী। ভারতের সেই জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী শ্রেয়া ঘোষালকে l বাংলাদেশের এক অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। কিন্তু তা করতে গিয়েই প্রতারণার শিকার হল বাংলাদেশ দূতাবাস। তাঁদের কাছ থেকে মোটা টাকা অগ্রিম নিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। অথচ পরে তারা জানতে পারে গোটা বিষয়টাই ভুয়ো। তাদের অভিযোগের তির রয়েছে মুম্বইয়ের একটি সংস্থার দিকে।
ঘটনার সূত্রপাত বেশ কয়েকমাস আগে। গত জানুয়ারি মাসে মুম্বইয়ের ‘হিটমেকার্স প্রোডাকশন প্রাইভেট লিমিটেড’ নামের সংস্থার মাধ্যমে শ্রেয়া ঘোষালের সঙ্গে চুক্তি করে বাংলাদেশ দূতাবাস। অগ্রিম নেওয়া হয় ৮ লক্ষ টাকা। শ্রেয়া ঘোষালের নামের ইমেল আইডি এবং হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর থেকে সেই টাকা পাওয়ার পর ধন্যবাদও জানানো হয়। বাংলাদেশ দূতাবাস জানিয়েছে, হিটমেকার্স নামের কোম্পানির ডিরেক্টর কৃষ্ণ শর্মার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠান তাঁরা। তবে শিল্পীর মেল থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে দেখে তখন এই নিয়ে কোনও সন্দেহ হয়নি কারও। এমনকি শ্রেয়ার মেল থেকে বাংলাদেশের পাঁচতারা হোটেলে দুটি ঘর বুক করে রাখতেও বলা হয়েছিল বলে অভিযোগ।
পরে অনুষ্ঠানের দিন নিকটে এলে দূতাবাস থেকে শ্রেয়ার সঙ্গে ফের যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। কিন্তু আর কোনওভাবে ওই সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। এরপরই আর বুঝতে অসুবিধা হয়নি যে গোটা বিষয়টাই ভুয়ো। বাংলাদেশ দূতাবাস কলকাতার প্রতারণাদমন শাখায় লিখিত অভিযোগ জানায়।
পড়শি দেশের বক্তব্য, কলকাতার শিল্পী চিরন্তন বন্দ্যোপাধ্যায়ের সূত্রে মুম্বইয়ের ওই সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছিল তাঁদের। এদিকে চিরন্তন বলছেন তিনি নিজেও প্রতারণার শিকার। তাঁকে লালবাজারে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তিনি অভিযোগের আঙুল তুলেছেন প্রসেনজিৎ চক্রবর্তী ওরফে প্রিন্স নামের এক যুবকের বিরুদ্ধে। তাঁর মাধ্যমেই নাকি হিটমেকার্সের সঙ্গে যোগাযোগ হয় চিরন্তনের। কিন্তু প্রিন্স এখন উধাও। বিষয়টি কলকাতা হাইকোর্টে উঠেছে। বিচারপতি রাজাশেখার মান্থা কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগকে এই প্রতারণার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। সূত্র: দ্যা ওয়াল।
রাজশাহীর সময় / জি আর