রাজশাহী নগরীর উপকন্ঠ কাটাখালী থানাধীন মাসকাঁটা দীঘি পূর্বপাড়া গ্রামে মোঃ শফিকুল ইসলাম শফির বাড়িতে আগুন দেয়ার অভিযোগ ওঠেছে।
প্রতিবেশী শত্রুরা মঙ্গলবার (২৬ এপ্রিল) রাত ২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, শফিকুল ইসলাম শফির বাড়িসহ ৪টি ঘরের সমস্ত আসবাবপত্র পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এসময় শফির ছেলে মোঃ ফরহাদ হোসেন, শফির স্ত্রী মোছাঃ ফজিলা ও শফির মা মুঞ্জুয়ারা বেগম বলেন, দেওয়ানপাড়া ঢালানে 'ফরহাদ মিক্স মিডিয়া' নামে বিকাশের দোকান আছে। প্রতিদিনের ন্যায় দোকানদারী শেষ করে রাতে বাড়িতে এসে রাতের খাবার খেয়ে আমার সকলে ঘুমিয়ে পড়ি।
ফরহাদের দাবি, হঠাৎ রাত্রি দুইটার দিকে আগুনের তাপ অনুভব করি এবং তাকিয়ে দেখি কারা যেন জানালার বাহির থেকে ঘরের ভেতরে পেট্রোল ফেলছে। একই সময় পাশের ঘরে আগুন জ্বলছে, পেট্রোল দেওয়ার কারণে দ্রুত আগুন পুরো বাড়িতে ছড়িয়ে পড়ে। মুহুর্তের মধ্যে নগদ টাকাসহ সমস্ত আসবাবপত্র পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
বিকাশের ব্যবসার নগদ ৩ লক্ষ ৬০ হাজার এবং ক্ষুদ্র ঋণ করা ১ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা ঘরেই ছিল। এ সময় ৪ লক্ষ ৯০হাজার টাকা আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যায় এবং ৩ টা স্মার্টফোন ও ১টি বাটন ফোন সহ সকল আসবাবপত্র আগুনে পুড়ে যায়। ফায়ার সার্ভিসে খবর দিলে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা রাত্রি আড়াইটার দিকে ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণ করেন। কাটাখালি থানায় খবর দিলে রাতেই পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
মঙ্গলবার সকালে কাটাখালি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সিদ্দিকুর রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন এবং থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করতে বলেন। কিন্তু থানায় গিয়ে এক ঘন্টার উপরে বসে থেকেও কোন ধরনের সেবা পাওয়া যায় নি বলেও জানান শফির ছেলে ফরহাদ হোসেন। পরবর্তীতে আমার বাবা শফিকুল ইসলাম শফি বিজ্ঞ আদালতে মামলা দায়ের প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
তিনি আরো জানান, কিছুদিন আগে প্রতিবেশী রজব, চামেলি,মেরাজ, মিলন এদের সাথে আমাদের রাস্তা নিয়ে দ্বন্দ্ব হয় এবং হাতাহাতি হয়। এ বিষয়ে কাটাখালি থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা আছে। থানায় অভিযোগ দায়ের পর থেকেই প্রতিবেশী শত্রু রজব,চামেলি, মেরাজ, মিলন, আমাদের প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে থাকে এবং প্রকাশ্যে বলে বেড়াই আমাদেরকে ভিটাছাড়া করবে। যত টাকাই খরচ হোক সমস্যা নাই কিন্তু আমাদের ভিটাছাড়া করেই ছাড়বে বলে হুমকি দিতে থাকে। তারই ফলশ্রুতিতে আজকে গভীর রাতে আমাদের বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে বলেও অভিযোগ করে শফির ছেলে ফরহাদ।
এ বিষয়ে জানতে কাটাখালি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সিদ্দিকুর রহমানকে মুঠোফোনে ফোন দেওয়া হলে তিনি বলেন, খবর পাওয়া মাত্রই পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়েছে, ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি এসে আগুন নিয়ন্ত্রণ করেছে। আমি নিজেও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ভুক্তভোগীরা থানায় অভিযোগ দিলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান ওসি।
রাজশাহীর সময় / জি আর