২৪ নভেম্বর ২০২৪, রবিবার, ০৫:১৭:৩৮ অপরাহ্ন


সংঘাতে ক্ষতিগ্রস্থ দেশগুলোতে শান্তি বিনির্মাণে অর্থ বাড়ানোর আহবান বাংলাদেশের
নিউ ইয়র্ক প্রতিনিধি
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৬-০৪-২০২২
সংঘাতে ক্ষতিগ্রস্থ দেশগুলোতে শান্তি বিনির্মাণে অর্থ বাড়ানোর আহবান বাংলাদেশের সংঘাতে ক্ষতিগ্রস্থ দেশগুলোতে শান্তি বিনির্মাণে অর্থ বাড়ানোর আহবান বাংলাদেশের


স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠায় সংঘাতে ক্ষতিগ্রস্থ দেশগুলোতে জাতীয় প্রতিষ্ঠান বিনির্মাণ ও শক্তিশালীকরণ এবং সেদেশের উন্নয়নে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্তমূলক সম্পৃক্ততা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় অর্থায়নের আহ্বান জানালো বাংলাদেশ। স্থানীয় সময় সোমবার (২৫ এপ্রিল) জাতিসংঘ সদরদপ্তরের ইকোসক চেম্বারে ‘সংঘাতে ক্ষতিগ্রস্থ দেশগুলোতে শান্তি বিনির্মাণের জন্য তহবিলের নমনীয়তা’ শীর্ষক এক গোলটেবিল আলোচনায় একথা বলেন অ্যাম্বাসেডর-অ্যাট-লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন। গোলটেবিল আলোচনাটি পিসবিল্ডিং অর্থায়ন বিষয়ক জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের উচ্চ পর্যায়ের সভার অংশ হিসেবে বাংলাদেশ, আয়ারল্যান্ড ও জাতিসংঘ এর সহপৃষ্ঠপোষকতায় অনুষ্ঠিত হয়। 

অ্যাম্বাসেডর জিয়াউদ্দিন বলেন, যখন কোনো দেশে শান্তিরক্ষা মিশনের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায় এবং সে দেশের জাতীয় কর্তৃপক্ষ বৃহত্তর দায়িত্ব গ্রহণ করে, সে সময়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমর্থন অব্যাহত রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ সময় সহায়ক উদ্যোগ গ্রহণের মাধ্যমে জাতীয় প্রতিষ্ঠানসমূহের সক্ষমতা বৃদ্ধি করা এবং দেশটির আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন এগিয়ে নেওয়া অত্যন্ত জরুরী। তিনি আরও বলেন, “আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহের সাথে সম্পৃক্ততা বৃদ্ধির মাধ্যমে অংশীদারিত্ব সুদৃঢ় করা এবং দক্ষিণ-দক্ষিণ ও ত্রি-পক্ষীয় সহযোগিতাকে এগিয়ে নেওয়া গেলে তা টেকসই উন্নয়নের অগ্রগতিতে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখতে পারে”।

সংঘাত থেকে বেরিয়ে আসা দেশসমূহের জাতীয় শান্তিবিনির্মাণ প্রচেষ্টাকে এগিয়ে নিতে শান্তি বিনির্মাণ কমিশন তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে মর্মে উল্লেখ করেন তিনি। অ্যম্বাসেডর জিয়াউদ্দিন বলেন,“জাতিসংঘ মহাসচিবের শান্তি বিনির্মাণ তহবিল এক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ অনুঘটক”। পর্যাপ্ত, পূর্বানুমানযোগ্য, ও টেকসই অর্থায়ন নিশ্চিত করার মাধ্যমে শান্তি বিনির্মাণ অগ্রাধিকারসহ জাতিসংঘের ট্রানজিশন পরিকল্পনাকে সমর্থন জোগাতে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সংস্থাসহ সকল অংশজনদের প্রতি আহ্বান জানান জনাব জিয়াউদ্দিন।

এর আগে অ্যাম্বাসেডর-অ্যাট-লার্জ জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সভাপতি আব্দুল্লাহ শাহিদ ও জ্যামাইকার পররাষ্ট্র ও বৈদেশিক বাণিজ্য মন্ত্রী কামিনা জনসন স্মিথের এর সাথে আলাদা আলাদা দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন। এসকল বৈঠকে পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।

উল্লেখ্য, আগামী ২৭ এপ্রিল প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিতব্য পিসবিল্ডিং অর্থায়ন বিষয়ক জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের উচ্চ পর্যায়ের সভায় অংশগ্রহণ উপলক্ষে অ্যাম্বাসেডর-অ্যাট-লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন বর্তমানে নিউইয়র্ক অবস্থান করছেন।

রাজশাহীর সময়/এমজেড