ভারতের কর্ণাটক রাজ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে হিজাব নিষিদ্ধের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে রাজ্যের পাঁচ ছাত্রী উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। এবার হিজাব পরে পরীক্ষা দিতে চাওয়ার কারণে সেই পাঁচ ছাত্রীর মধ্যে দুজনকে পরীক্ষায় বসতে দেওয়া হয়নি।
গতকাল শুক্রবার এই ঘটনা ঘটে।
পরীক্ষা দিতে না পারা ওই দুই ছাত্রী হলো আলিয়া আসাদি ও রেশাম। তারা কর্ণাটকের উদুপি জেলার সরকারি পিইউ গার্লস কলেজের শিক্ষার্থী। শুক্রবার তাদের ব্যবসায় শিক্ষা বিষয়ের পরীক্ষা ছিল। পরীক্ষা দিতে তারা উদুপির বিদ্যোদয়া পিইউ কলেজ কেন্দ্রে যান। সবার পরীক্ষা শুরু হয় সোয়া ১০টায়। হিজাব পরে পরীক্ষা দিতে ওই কেন্দ্রে যান ওই দুই ছাত্রী। এ সময় তারা কলেজ কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করেন হিজাব পরিহিত অবস্থাতেই পরীক্ষা দিতে দেওয়ার। এ নিয়ে আলোচনায়ও বসে কলেজ কর্তৃপক্ষ। কিন্তু ৪৫ মিনিট আলোচনার পর কলেজ কর্তৃপক্ষ ওই ছাত্রীদের জানায়, হিজাব পরে তাদের পরীক্ষায় বসতে দেওয়া হবে না। এরপর ওই দুই ছাত্রী হিজাব খুলবেন না বলে কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে দিয়ে পরীক্ষাকেন্দ্র থেকে চলে যান।
কর্ণাটক সরকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে হিজাব নিষিদ্ধ করার পর রাজ্য সরকারের এ সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে আলিয়া, রেশামসহ পিইউ গার্লস কলেজের পাঁচ শিক্ষার্থী উচ্চ আদালতে পিটিশন দাখিল করেছিলেন। আদালত হিজাব নিষিদ্ধ নিয়ে রাজ্য সরকারের এ সিদ্ধান্ত বহাল রেখে বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে হিজাব পরা যাবে না। এর আগেও দশম শ্রেণির বোর্ড পরীক্ষার সময় এক পরিদর্শক হিজাব পরে কর্ণাটকের এসএসএলসি পরীক্ষাকেন্দ্রে যাওয়ায় তাঁকে বহিষ্কার করেছিল কর্তৃপক্ষ।
রাজশাহীর সময়/এএইচ