রমজানে ইতেকাফ পালনের মূল উদ্দেশ্য হলো আল্লাহর পক্ষ থেকে রহমত বরকত মাগফেরাত ও নাজাত পাওয়া। লাইলাতুল কদর পাওয়া। আল্লাহর সন্তুষ্টি ও চূড়ান্ত দিদার অর্জন করা। নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি প্রতি বছর রমজানের শেষ ১০ দিন এ নিয়তেই ইতেকাফ করতেন। তবে ইতেকাফে বসার আগে রয়েছে কিছু করণীয়। কী সেই করণীয়?
রমজানের শেষ ১০ দিন ইতেকাফ করতে হয়। তাই ইতেকাফের রয়েছে কিছু প্রস্তুতি। ইতেকাফে বসলে রোজাদার কোনো ধরনের কথা-বার্তা, লেন-দেন, ব্যবসা-বানিজ্য, চাকরি-বাকরি কোনো কিছুতেই অংশগ্রহণ করতে পারে না। ইতেকাফের বিধি-নিষেধ সম্পর্কে আল্লাহ তাআলা বলেন-
وَلاَ تُبَاشِرُوهُنَّ وَأَنتُمْ عَاكِفُونَ فِي الْمَسَاجِدِ
'তোমরা মসজিদে ইতিকাফ অবস্থায় তাদের সাথে (তোমাদের স্ত্রীদের) সাথে সঙ্গম করো না।' (সুরা বাকারা : আয়াত ১২৭)
কেননা আল্লাহ তাআলার নৈকট্য অর্জনে নিরবচ্ছিন্ন ইবাদাত বন্দেগিতে সময় কাটানো ও ইতেকাফ পালনের মাধ্যমেই লাইলাতুল ক্বদর প্রাপ্তির একমাত্র সুবর্ণ সুযোগ আসে। ইতেকাফ হচ্ছে নিজের নফসকে আল্লাহ তাআলার ইবাদতে আবদ্ধ করা ও তাঁর সঙ্গে বন্ধুত্ব করা। আর দুনিয়ার সব কিছু থেকে নিজেকে বিচ্ছিন্ন করে আল্লাহর জিকির-আজকারের মাধ্যমে নিজের অন্তরকে দুনিয়াবী কাজ-কর্ম থেকে বিরত রাখা জরুরি।
ইতেকাফে বসার আগে আবশ্যক করণীয়
১. পরিবারের ঈদের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা।
২. ফিতরা আদায়ের ব্যবস্থা করা।
৩. পরিবারের ব্যয়ভার বহনের ব্যবস্থা করা।
৪. মসজিদে ইফতার ও সাহরি পৌছানোর ব্যবস্থা করা।
৫. দুনিয়াবি জরুরি সম্ভাব্য কাজের সমাধানের ব্যবস্থা করা।
৬. পারিবারিক যাবতীয় প্রয়োজনীয় বিষয়াদির ব্যবস্থা করে যাওয়া।
ইতেকাফে বসার জন্য মসজিদে প্রবেশের আগেই প্রয়োজনীয় পারিবারিক সব সমস্যার সমাধানে সার্বিক ইন্তেজাম সম্পন্ন করা মুমিন মুসলমান রোজাদারের জন্য অত্যন্ত জরুরি।
উল্লেখ্য, এবার যারা ইতেকাফে বসবেন, তাদের নিজেদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও নিরাপত্তার বিষয়টির প্রতি যথাযথ গুরুত্বারোপ করাও জরুরি।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে নিরাপত্তা ও সুস্বাস্থ্যের সঙ্গে ইতেকাফে পালনের তাওফিক দান করুন। ইতেকাফের লক্ষ্য উদ্দেশ্য হাসিলের তাওফিক দান করুন। আমিন।
রাজশাহীর সময়/এএইচ