নাটোরের গুরুদাসপুরে উদবাড়ীয়া মাদ্রাসার স্কুলেস হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন ও সকল আসামীদের ২৪ ঘন্টার মধ্যে গ্রেফতার করেছে নাটোর র্যাব।
সোমবার (১৮ এপ্রিল) রাত ১০টাা হতে মঙ্গলবার ১৯ এপ্রিল ভোর ৫টা পর্যন্ত র্যাব-৫, সিপিসি-২, নাটোর ক্যাম্পের আভিযানিক দল চাটমোহর ও সিরাজগঞ্জ জেলায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে। অন্তর (২০) হত্যাকান্ডের সাথে সরাসরি জড়িত।
গ্রেফতার আসামীরা হলো: মোঃ এরশাদ আলী অরফে আকাশ সুইপার (৩৪), মোঃ রিপন সরকার (৩২), জিজ্ঞাসাবাদে তারা অন্তরকে হত্যা করার কথা স্বীকার করেছে।
মঙ্গলবার দুপুরে র্যাব-৫, এর পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়।
র্যাব জানায়, ১৬ এপ্রিল (শনিবার) রাত ১১টার দিকে গুরুদাসপুর থানা পুলিশ নাটোর জেলার গুরুদাসপুর থানার ধারাবারিষা ইউনিয়নের উদবারিয়া দাখিল মাদ্রাসার চত্ত¦র হতে অজ্ঞাত এক যুবকের (২০) লাশ উদ্ধার করে।
প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হয় কে বা কাহারা অজ্ঞাত যুবককে শ^াসরোধ করে হত্যা করে ফেলে পালিয়ে গেছে। এরপর গুরুদাসপুর থানা পুলিশ অজ্ঞাত লাশের পরিচয় সনাক্ত করে। মৃত যুববকের নাম অন্তর (২০), সে পাবনা জেলার চাটমোহর থানার পাতাইলহাট গ্রামের মোঃ ছবের আলীর ছেলে।
অনুসন্ধানে জানা যায়, অনেক আগে মৃত অন্তরের পিতা-মাতার বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটেছে। সে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন কাজ করত এবং তার নিজ পরিবারের সাথে তেমন যোগাযোগ ছিল না।
অজ্ঞাত যুবকের লাশ উদ্ধারের সংবাদটি এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে এবং স্থানীয় ও জাতীয় সংবাদ মাধ্যমে ব্যাপকভাবে প্রচারিত হলে র্যাব-৫, নাটোর ক্যাম্প ঘটনাস্থল পরিদর্শনসহ হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটনের ছায়াতদন্ত শুরু করে।
এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব-৫, সিপিসি-২, নাটোর ক্যাম্পের একটি আভিযানিক দল কোম্পানী অধিনায়ক অতিঃ পুলিশ সুপার মোঃ ফরহাদ হোসেন এবং কোম্পানী উপ-অধিনায়ক মোঃ রফিকুল ইসলাম এর নেতৃত্বে তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় অজ্ঞাত যুবক হত্যাকান্ডের মূল রহস্য উদঘাটন করতে সক্ষম হয়।