গোপনে গোসলের ভিডিও ধারন করে ভয় দেখিয়ে গৃহবধূ দিঘাকে ধর্ষণ করতো বিশ্বজিৎ মণ্ডল নামের এক যুবক।
শেষ পর্যন্ত অতিষ্ঠ হয়ে গৃহবধূ দিঘা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন লম্পট যুবকের বিরুদ্ধে। পরে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত যুবককে পুলিশ গ্রেফতার করে। এ সময় তার মোবাইল ফোন জব্দ কারা হয়।
ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুরের দিঘা থানার পায়াগ্রামে। জানা গেছে, রোববার বিশ্বজিৎ মণ্ডলকে কাঁথি আদালতে সাত দিনের পুলিশ রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেছে পুলিশ।
জানা গেছে, দিনের পর দিন ভিডিও ভাইরাল করে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে স্বামীর অনুপস্থিতিতে গৃহবধূকে ধর্ষণ করে চলছিল অভিযুক্ত যুবক৷ লোকলজ্জার ভয়ে আড়াই বছর ধরে এই অত্যাচার সহ্য করে করেছেন ওই গৃহবধূ। ধর্ষণের কথা কাউকে বলতে পারেননি । অবশেষে ধৈর্য্যের বাঁধ ভাঙে ৷ এরপরেই তিনি সব কথা বলে দেন তাঁর স্বামীকে ৷ এরপরেই তাঁরা দ্বারস্থ হন থানার ৷ সেই অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয় ওই যুবককে।
রবিবার অভিযুক্তকে কাঁথি মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক তার জামিন খারিজ করে দিয়েছেন। আর পাঁচদিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। একইসঙ্গে নির্যাতিতার গোপন জবানবন্দি নেন কাঁথি আদালতের বিচারক।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গৃহবধূ দিঘা পায়া গ্রামের যুবক বিশ্বজিৎ মণ্ডলের যাতায়াত করতো ৷ সেই সুযোগে একদিন যুবক ওই বাড়িতে সকলের ঢুকে দেখেন বাথরুমের দরজা খোলা গোসল করছেন গৃহবধূ। বাড়ির সদর দরজা বন্ধ থাকলেও তা ভিতর থেকে ছিটকিনি দেওয়া ছিল না। সেই সুযোগে গৃহবধূর গোসলের নগ্ন দৃশ্য ভিডিও করে অভিযুক্ত। এরপর সেটা দেখিয়েই চলে আড়াই নবছর ধর্ষণ।
গৃহবধূর অভিযোগ, ব্ল্যাকমেল করে শরীর ভোগের পাশাপাশি সোনার গহনা, নগদ টাকাও জোর করে নিয়ে যাচ্ছিল ওই যুবক ৷ তারপরেও ২৮ মার্চ বাড়িতে হাজির হয় সে। চলে ধর্ষণ। গলার সোনার চেন ছিনিয়ে নেয় ৷ এরপরই গোটা ঘটনা স্বামীকে বলতে বাধ্য হন ওই গৃহবধূ।
রাজশাহীর সময় / এম আর
