কৃষ্ণ সাগরে রুশ যুদ্ধ জাহাজে মিসাইল হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন সেনারা। এই হামলার কথা অস্বীকার করেছে রাশিয়া। রাশিয়া জানিয়েছে কোন কারণে আগুন লাগার কারণে জাহাজটি ব্যাপক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। রুশ যুদ্ধ জাহাজে হামলা চালানোর বিষয়টি স্বীকার করে এক বিবৃতি দিয়েছে ইউক্রেন প্রশাসন।
ইউক্রেনের ওডেসার গভর্নর দাবি করেন ১৩ এপ্রিল রুশ যুদ্ধ জাহাজের ওপর ইউক্রেনীয় বাহিনী মিসাইল হামলা চালায়। আর তাতে সম্পূর্ণ রুপে জাহাজটি ধ্বংস হয়ে গেছে। বুধবার সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে রাশিয়া যুদ্ধ জাহাজে আগুন লাগার কথা স্বীকার করেছে। তবে তা যে ইউক্রেনীয় বাহিনীর হামলায় ঘটেছে সেকথা অবশ্য মানতে চায়নি রাশিয়া। এদিকে ওডেসার গভর্নর দাবি করেন ইউক্রেনীয় বাহিনী কৃষ্ণ সাগরে একটি রুশ যুদ্ধ জাহাজের ওপর হামলা চালায় ফলে জাহাজটি সম্পূর্ণ রুপে ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। ইউক্রেনের তৈরি নেপচুন ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা চালানো হয় বলে জানানো হয়।
বুধবারের এই ঘটনার পর মস্কো জানিয়েছে, একটি বিস্ফোরণের কারণে আগুন ধরে যাওয়ায় রাশিয়ার ব্ল্যাক সি ফ্লিটের একটি ফ্ল্যাগশিপ গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জাহাজের ক্রুদেরও নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়ে হয়েছে বলেও দাবি করেছে রাশিয়া। সেই সঙ্গে রাশিয়া আরও দাবি করেছে মারিউপোলে ১০২৬ জন সেনা এবং ১৬২ জন আধিকারিক রুশ বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করেছে। ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর তরফে এই তথ্য মিথ্যা বলা দাবি করা হয়েছে। এদিকে রাষ্ট্রপতি ভলোদিমির জেলেনস্কি বুধবার রাতে এক ভিডিও কনফারেন্সে বলেন, রাশিয়ান সেনা ইউক্রেনের দক্ষিণ এবং পূর্বদিকে সেনা তৎপরতা বাড়াতে শুরু করেছে।
রাশিয়া আবার ভারী আক্রমণ চালাতে পারে এমন আশঙ্কার মধ্যে ইউক্রেনে প্রাণঘাতী ‘সামরিক সরঞ্জাম’ পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ৯০ টন ওজনের ওই সামরিক সহায়তার প্রথম চালান ইতিমধ্যে ইউক্রেনে পৌঁছেছে। ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস ওই সামরিক সহায়তা পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। ইউক্রেনে সামরিক সহায়তা পাঠানোর বিষয়টি সম্প্রতি অনুমোদন দেয় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন। আর তার পরই ইউক্রেনকে সামরিক অস্ত্র সাহায্য করল আমেরিকা।
রাজশাহীর সময় / এম আর