দ্বিতীয়বারের জন্য টাইম ম্যাগাজিনের বর্ষসেরা ব্যক্তিত্ব নির্বাচিত হলেন নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এর আগে ২০১৬ সালে প্রথমবারের জন্য তাঁকে এই শিরোপা দেওয়া হয়েছিল। গতবার এই সম্মান পেয়েছিলেন টেলর সুইফট।
১৯২৭ সাল থেকে ‘পার্সন অব দ্য ইয়ার’ নির্বাচন করে টাইম ম্যাগাজিন। কোনও একটি বছরের সার্বিক বৈশ্বিক ঘটনার ভিতরে সর্বাধিক প্রভাব যাঁর, তিনিই এই খেতাব পান। তবে এই প্রভাব কেবল সদর্থক নয়, নেতিবাচকও হতে পারে। ট্রাম্পকে এবার বেছে নেওয়ার পিছনে রয়েছে তাঁর দুরন্ত ‘রাজনৈতিক কামব্যাক’। মার্কিন ইতিহাসে এমন প্রত্যাবর্তন নজিরবিহীন বলেই দাবি পত্রিকার সম্পাদকমণ্ডলীর।
প্রেসিডেন্ট থাকার পর পরাজিত হয়ে পরের নির্বাচনে ফের জয়। মার্কিন নির্বাচনের ইতিহাসে এ ঘটনা বেনজির না হলেও একেবারেই বিরল। সেই বিরল কাণ্ডটি ঘটাতে অনেক কাঠখড় পোড়াতে হয়েছে ট্রাম্পকে। ২০-র নির্বাচনে হারের পর অনেকেই ধরে নিয়েছিলেন ট্রাম্পের রাজনৈতিক কেরিয়ার শেষ। এর পর একের পর এক বিতর্কের বেড়াজালে বিদ্ধ হতে হয়েছে তাঁকে। প্রথমে ক্যাপিটাল হিংসায় উসকানির অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা। এর পর প্রত্যাশিতভাবেই একের পর এক দুর্নীতির অভিযোগ মাথাচাড়া দেয়। সেই সঙ্গে রয়েছে ব্যক্তিগত ‘কুৎসা’। এক পর্ন তারকাও ট্রাম্পের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ আনেন। সাংবিধানিক রক্ষাকবচ থাকলেও, সেই রক্ষাকবচ এড়িয়ে জো বাইডেন সরকার ট্রাম্পকে জেলে ঢোকানোর প্রায় সবরকম বন্দোবস্ত সেরে ফেলেছিল। ট্রাম্প জানতেন, হেরে গেলে তাঁর সামনে ঝুলছে কারাবাসের খাঁড়া। সেকারণেই হয়তো এবারের ভোটে একটু বেশিই মরিয়া মনে হচ্ছিল ট্রাম্পকে। গোটা পশ্চিমী বিশ্বে অতি ডান নীতি ও বাকচতুরতাকে রাজনৈতিক মূলমঞ্চে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করাই তাঁর অন্যতম ইউএসপি। সেই অতি ডানপন্থা খানিক উগ্রতা, খানিক আগ্রাসন মিশিয়ে মার্কিন জনতার সামনে তুলে ধরেন তিনি। আর তারই ফলশ্রুতি ডেমোক্র্যাটদের সরিয়ে বর্ষীয়ান রিপাবলিকান নেতার তখতে প্রত্যাবর্তন।এবার তাই টাইম ম্যাগাজিনের বর্ষসেরা ব্যক্তিত্বের শিরোপা পেলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।