নাটোরের বাগাতিপাড়ায় চা-বিস্কুট খাওয়ার পর আগের বকেয়াসহ বিল চাওয়ায় গরম পানি ঢেলে প্রতিবন্ধী চা বিক্রেতা আব্বাস আলী মণ্ডলের (৭৭) হাত ঝলসে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আতিক হাসান বিদ্যুতের বিরুদ্ধে।
বুধবার রাতে উপজেলার ফাগুয়াড়দিয়াড় ইউনিয়নের স্যানালপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত বিদ্যুৎ একই এলাকার বদিউর রহমানের ছেলে।
চা দোকানি আব্বাস আলী জানান, বুধবার রাত ৮টার দিকে বন্ধু-বান্ধবসহ বিদ্যুৎ তার দোকানে এসে চা-বিস্কুট খায়। পরে পাওনা টাকা চাওয়ায় তিনি তার ওপর চড়াও হয়ে আবোল-তাবোল কথা বলতে থাকেন। একপর্যায়ে কেটলিতে থাকা গরম পানি তার হাতে ঢেলে দেয় ও মারধর শুরু করে। এছাড়াও দোকানের চায়ের কাপগুলোও ভেঙে ফেলে। এ সময় ভয়ে আব্বাস আলী পালিয়ে যান। পরে স্থানীয় এক ব্যক্তির সহযোগিতায় তিনি বাগাতিপাড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য ভর্তি হয়ে বর্তমানে সেখানেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
আব্বাস আলী আরও বলেন, এর আগেও দোকান বাকির টাকা চাওয়ায় কয়েকবার বিদ্যুৎ তাকে মারধর করেছে এবং দোকানপাট ভাঙচুর করেছে। দলের প্রভাব থাকায় তার কোনো বিচার হয়নি।
প্রত্যক্ষদর্শী কলাবাড়িয়া এলাকার বাবলু শেখ বলেন, টাকা চাওয়া নিয়ে তাদের মধ্যে বাগবিতণ্ডা শুরু হয়। একপর্যায়ে কেটলির গরম পানিতে আব্বাস আলীর হাত ঝলসে যায়।
অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা আতিক হাসান বিদ্যুৎ বলেন, তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে। বরং তার দিকেই কেটলির গরম পানি ছোড়া হয়েছিল। ওই পানি তার হাতে পড়েছে। আর ওই দোকানদার তার কাছে বকেয়া কোনো টাকা পান না।
ফাগুয়াড়দিয়াড় ইউপি চেয়ারম্যান এএসএম লেলিন বলেন, বিদ্যুৎ খুব খারাপ প্রকৃতির ছেলে। সে সব সময় মারামারি নিয়েই থাকে। তার নামে মারামারির কয়েকটি মামলাও রয়েছে। বাকির টাকা চাওয়ায় আব্বাস আলীকে এর আগেও সে কয়েকবার মারধর করেছে।
বাগাতিপাড়া মডেল থানার ওসি আমিনুল হক বলেন, ঘটনা শোনার পর পুলিশ পাঠানো হলেও বিদ্যুৎকে পাওয়া যায়নি। লিখিত অভিযোগ পেলে পরবর্তীতে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।