২১ ডিসেম্বর ২০২৪, শনিবার, ১০:১৬:১৯ অপরাহ্ন


গুরুদাসপুরে বিনা নোটিশে ব্যবসায়ীকে উচ্ছেদ, জায়গা ফিরে পাওয়ার দাবি
গুরুদাসপুর (নাটোর) প্রতিনিধি:
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৬-১২-২০২৪
গুরুদাসপুরে বিনা নোটিশে ব্যবসায়ীকে উচ্ছেদ, জায়গা ফিরে পাওয়ার দাবি গুরুদাসপুরে বিনা নোটিশে ব্যবসায়ীকে উচ্ছেদ, জায়গা ফিরে পাওয়ার দাবি


নাটোরের গুরুদাসপুরে বিনা নোটিশে বস্ত্র ব্যবসায়ীকে দোকান থেকে উচ্ছেদের প্রতিবাদ করে হকদখলীয় জায়গা ফিরে পেতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী মাসুদ রানা মুন্সী ও তার পরিবার পরিজন। শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টায় স্থানীয় চলনবিল প্রেসক্লাবে সাংবাদিকের সামনে এ দাবি জানান তারা। 

ভুক্তভোগী মাসুদ রানা বলেন, গুরুদাসপুর পৌরসদরের চাঁচকৈড় বাজারে ১৬৭৮ খতিয়ানের (জেএল নং ৭২) এবং ৩৬০৪ নং হালদাগের দশমিক ০০৩৭ বর্গলিং জায়গার মালিক তিনি। পৈত্রিক সুত্রসহ ২০০৯ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর ৩৯৭৯ দলিল মূলে অন্যান্য ওয়ারিশদের কাছে থেকে ওই জায়গা ক্রয় করেন। ওই জায়গার বিরুদ্ধে সরকারপক্ষ রেকর্ড ভুল হয়েছে মর্মে ২০০৯ সালে মামলা করলে ২০১৪ সালে তা খারিজ হয়ে যায়। ওই জায়গায় কাপড়ের দোকান করে ব্যবসা চালিয়ে আসছিলেন তিনি।

হঠাৎ গত বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যার দিকে দোকান বন্ধ থাকা অবস্থায় পার-গুরুদাসপুর মহল্লার দোরাফ উদ্দিনের ছেলে হযরত আলীর পক্ষে সহকারী কমিশনার (ভূমি) আশরাফুল ইসলাম তার স্টাফদের নিয়ে বেআইনিভাবে তার দোকানের তালা ভেঙ্গে মালপত্র বের করে দেন। মাসুদ ঘটনাস্থলে এসে প্রতিবাদ করলে তাকে ধমক দিয়ে জেল জুলুমের ভয় দেখালে অজ্ঞান হয়ে পড়েন তিনি। 

এ ব্যাপারে হযরত আলী বলেন, ৩৬০১ দাগে মাসুদ রানাদের সম্পত্তি আছে। তারা সরকারিভাবে লীজ নিয়ে ভোগদখলও করছেন। অথচ আমি ১৯৮৫ সালে ওই জমির পশ্চিমে মধু কুন্ডুর কাছ থেকে ক্রয় করি এবং ১৯৯০ সালে সেখানে পাকা ঘর করি। সরকারি লীজ নিয়ে কর্ম করে খাচ্ছি। তারা বাতিল রেকর্ডের বলে হঠাৎ ৫ আগষ্ট আমার জায়গা জবরদখল করে নেন। 

ইউএনও সালমা আক্তার বলেন, এটা হাটের পেরিফেরিভুক্ত জায়গা। হযরত আলীর নামে ডিসিআর কাটা আছে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে বৈধভাবে লীজ নিয়ে দখলে আছেন। তাছাড়া মাসুদ রানা লিখিত অভিযোগ দিলে খতিয়ে দেখা হবে।