ইজ়রায়েলি বিমান থেকে লাগাতার বোমাবর্ষণে উত্তর গাজ়ার জাবালিয়ায় ১৩ শিশু-সহ ৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে। গাজ়া প্রশাসনের দাবি আহতের সংখ্যাও অনেক। বহু মানুষ নিখোঁজ রয়েছেন বলেও জানানো হয়েছে।
রবিবার সকাল ৬টা থেকে গাজ়ায় এ হামলা চালায় দখলদার ইজ়রায়েলি সেনারা।
বিমান হামলার পাশাপাশি উত্তর গাজ়ার বিভিন্ন এলাকায় বাড়ি বাড়ি ঢুকে তল্লাশি অভিযান চালায়েছে ইজ়রায়েলি সেনা। উদ্ধারকারীদের দাবি, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা এবং ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলির কাছে তাঁরা পৌছাতে পারছেন না। ফলে এই সামরিক অভিযানের জেরে মৃত্যুর সংখ্যা প্রতিদিনই বাড়ছে।
গত শনিবারে দু’টি পৃথক হামলায় শিশু এবং মহিলা-সহ ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। ফের আজ রবিবার ভোর থেকে জাবালিয়াকে টার্গেট করে ইজ়রায়েলি বিমান থেকে নতুন করে হামলা শুরু করে তারা।
ইজ়রায়েলি সেনার দাবি, ওই এলাকায় হামাস বাহিনী গোপনে ঘাঁটি বানাচ্ছে। আর তার পরই জাবালিয়ায় বোমাবর্ষণ শুরু করেছে ইজ়রায়েল। উত্তর গাজ়ায় কোনও ভাবেই উদ্ধারকারী দল পৌঁছাতে পারছিল না। কয়েক দিন আগেই সেখানে উদ্ধারকারী দল পৌঁছেছে। তার মধ্যেই আবার ইজ়রায়েলি হামলায় উদ্ধারকাজ বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে বলে দাবি করছে উদ্ধারকারী দলগুলি।
শুধু উত্তর গাজ়াই নয়, পূর্ব এবং দক্ষিণ গাজ়াতেও হামলা জারি রেখেছে ইজ়রায়েল। শনিবার পূর্ব গাজ়ার তাফায় কটি স্কুল লক্ষ্য করে হামলা চালায় দখলদার ইজ়রায়েল। ওই হামলায় ছ’জনের মৃত্যু হয়েছে। খান ইউনিসে একটি আশ্রয় শিবিরেও হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে ইজ়রায়েলি বাহিনীর বিরুদ্ধে।
ইজ়রায়েল এবং গাজ়ার সংঘর্ষবিরতি আলোচনায় মধ্যস্থতার করা কথা ছিল কাতারের। কিন্তু তাদের যুক্তি, দু’পক্ষই এই সংঘর্ষ থামাতে কোনও রকম সদিচ্ছা দেখাতে চাইছে না। ১০ দিন আগেও দু’পক্ষকে নিয়ে বৈঠকে বসার আহ্বান জানিয়েছিলো কাতার। কিন্তু সেই প্রচেষ্টা আপাতত স্থগিত হয়ে গেছে। কাতার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, এই প্রক্রিয়া তখনই এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে, যখন দু’পক্ষই এই সংঘর্ষ থামাতে সদিচ্ছা প্রকাশ করবে।