২৪ নভেম্বর ২০২৪, রবিবার, ০৭:৩৮:১১ পূর্বাহ্ন


পুঠিয়া পৌরসভায় ভেঙ্গে পড়েছে নাগরিক সেবা !
মেহেদী দাম (পুঠিয়া প্রতিনিধি):
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৫-১০-২০২৪
পুঠিয়া পৌরসভায় ভেঙ্গে পড়েছে নাগরিক সেবা ! পুঠিয়া পৌরসভায় ভেঙ্গে পড়েছে নাগরিক সেবা !


গত ৫ আগস্ট আওয়ামীলীগ সরকারের পতনের পর থেকে রাজশাহীর পুঠিয়া পৌরসভায় ভেঙ্গে পড়েছে নাগরিক সেবা।

সকল পৌরসভার মেয়র অপসারণের পর-পরই দ্বিতীয় ধাপে অপসারণ করা হয় কাউন্সিলরদের। এর পর থেকেই শুরু হয় পৌরসভায় নাগরিক ভোগান্তি!

সেবা নিতে আসা নাগরিকগণ সঠিক সেবা না-পাওয়ার অভিযোগ এনে বলেন, পৌরসভা তো বরাবরই এমন, সঠিক সময়ে সঠিক সেবা কোনোদিনই পাইনি আমরা। নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি থাকাকালীন যেটুকু সেবা পাওয়া যেতো বর্তমানে প্রশাসক নিয়োগের পর সেটুকুও আর পাওয়া যাচ্ছে না! কোনো কাজের জন্য পৌরসভায় আসলে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হচ্ছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে অপেক্ষা করতে হয় দিনের পর দিন!

পৌরসভা সূত্রে জানা যায়, নাগরিকত্ব সনদ আর প্রত্যয়ন পত্র যেখানে একদিনেই দেওয়া হতো সেখানে এখন প্রায় দুই থেকে তিন দিনেরও অধিক সময় লেগে যাচ্ছে। আর বিশেষ করে এখন কোনো জনপ্রতিনিধি না-থাকায় সীমাহীন ভোগান্তিতে পড়েছে নাগরিকগণ তবে এগুলো ছাড়া অন্যান্য সকল সেবা সচল রয়েছে।

উল্লেখ্য, পুঠিয়া পৌরসভার আয়তন ১৩.৫১ বর্গ কি.মি. (৫.২২ বর্গ মাইল)। এই আয়তনকে ৯ টি ওয়ার্ডে বিভক্ত করা হয়েছে। বর্তমানে পৌরসভায় মোট জনসংখ্যার রয়েছে ২৫ হাজারেরও বেশি। এদের সেবা দেওয়ার জন্য একজন মেয়র ও ৯ জন কাউন্সিলর এবং তিনজন সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর ছিলেন।

বর্তমানে জনপ্রতিনিধিদের অপসারণের পর উপজেলা ও পৌরসভার বিভিন্ন কর্মকর্তাদের মধ্যে থেকে ৯ টি ওয়ার্ডে ৬ জনকে প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

সেবা নিতে আসা একাধিক ব্যক্তি জানান, আমি এসেছিলাম আমার নাগরিকত্ব সনদের জন্য। এসে দেখি আগে যেখানে এক দিনেই নাগরিকত্ব সনদ পেয়ে যেতাম এখন সেখানে দুই থেকে তিন দিন সময় লাগছে। এতে করে আমাদের একটা নাগরিকত্ব সনদের জন্য দুই বার আসা লাগছে পৌরসভায়। 

সেবা প্রত্যাশী আরেক ব্যক্তি জানান, আমি এসেছিলাম প্রত্যয়ন পত্র নেওয়ার জন্য কিন্তু এসে দেখি প্রথমে আবেদন করতে হয়, তারপর সেই কাগজ নাকি আরও কোন-কোন দপ্তরে যাবে তারপরে আমার হাতে এসে পৌঁছাবে। দুই থেকে তিন দিন পর্যন্ত সময় লাগবে। কিন্তু আগে আমরা এই কাগজটি হাতে পেতাম মাত্র আধা ঘন্টা থেকে এক ঘন্টার মধ্যে। পৌরসভা থেকে এ ধরণের নাগরিক ভোগান্তি আমরা আশা করি না। 

পৌরসভা থেকে প্রাপ্য সকল নাগরিক সেবা যেনো দ্রুত সময়ের মধ্যে দেওয়া হয় আমরা তার জোর দাবি জানাই।

পৌরসভার দায়িত্ব প্রাপ্ত সহকারী কমিশনার (ভূমি) দেবাশীষ বসাক বলেন, ভোগান্তি একটু হচ্ছে এটা সত্য। 

ইতোপূর্বে কোনো নাগরিক সেবা নিতে এলে খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে তাদেরকে সেবা দেওয়া হতো কারণ তারা যে ওয়ার্ড থেকে এসেছেন সেই ওয়ার্ডের জনপ্রতিনিধি তাঁদের সহজেই শনাক্ত করতে পারতেন কিন্তু বর্তমানে প্রশাসক নিয়োগ হওয়ার পর উপজেলা ও পৌরসভার কিছু কর্মকর্তাগণের পক্ষে সেবা নিতে আসা নাগরিকদের শনাক্ত করা এবং তাঁদের সঠিক তথ্য খুঁজে পাওয়া সময় সাপেক্ষ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

এজন্য একটু ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে পৌরবাসীকে। তবে অল্পদিনের মধ্যে এই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে বলে জানান তিনি।