২৪ নভেম্বর ২০২৪, রবিবার, ০৭:৫৯:২৩ পূর্বাহ্ন


পুঠিয়ায় দিনে-দুপুরে পুলিশ ছদ্মবেশে আ.লীগ নেতার বাড়িতে ডাকাতি
মেহেদী দাম (পুঠিয়া প্রতিনিধি):
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৪-১০-২০২৪
পুঠিয়ায় দিনে-দুপুরে পুলিশ ছদ্মবেশে আ.লীগ নেতার বাড়িতে ডাকাতি পুঠিয়ায় দিনে-দুপুরে পুলিশ ছদ্মবেশে আ.লীগ নেতার বাড়িতে ডাকাতি


রাজশাহীর পুঠিয়ায় দিনে-দুপুরে পুলিশের ছদ্মবেশে সংঘবদ্ধ ডাকাত দল আ.লীগ নেতার বাড়ি থেকে জোরপূর্বক ডাকাতি করে নিয়ে গেছে একটি মোটরসাইকেল।

গতকাল রবিবার (১৩ অক্টোবর) বিকেল ৪ টার সময় উপজেলার ভালুকগাছী ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন আওয়ামী লীগ নেতা সুলতানের নিজ বাস ভবনে দুর্ধর্ষ এ ডাকাতির ঘটনাটি ঘটে। 

ভুক্তভোগী মেহেদী হাসান সুলতান (৪৩) রাজশাহী জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য ও ৪ নং ভালুকগাছি ইউনিয়ন পরিষদের সর্বশেষ নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী ছিলেন। তিনি ভালুকগাছি কাউন্সিল সংলগ্ন এলাকার মৃত. আব্দুর রাজ্জাক এর ছেলে।

আ.লীগ নেতা সুলতান অভিযোগ করেন, গতকাল বিকেল ৪ টায় তিনি নিজ বাসায় ঘুমিয়েছিলেন। তার স্ত্রী হঠাৎ তাকে ডেকে বলেন বাহিরে অপরিচিত পাঁচজন লোক তাকে ডাকছেন। তাদের গায়ে পুলিশ লেখা জ্যাকেট ছিল। তিনি ঘরের ভিতর থেকে পুলিশ দেখে ভয়ে অন্য দরজা দিয়ে পালিয়ে যান। তিনি মনে করেছিলেন যেহেতু তিনি আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত তাকে আটক করার জন্য পুলিশ এসেছে। কিছুক্ষণ পরে বাসায় ফিরে তার স্ত্রীর কাছে জানতে পারেন, পুলিশের ছদ্মবেশে আসা ব্যক্তিগণ তার ব্যবহৃত হিরো গ্ল্যামার ১২৫ সিসি (রাজশাহী হ-১৭-২৫৭০) মোটরসাইকেলটি নিয়ে যায়।

মোটরসাইকেলটি নিয়ে যাবার সময় আমার স্ত্রীকে তারা বলেন, ‘আমি নাটোরের রাজা। মোটরসাইকেলটি নিয়ে গেলাম। আপনার স্বামী এলে বলবেন।’ আমি তৎক্ষণাৎ পুঠিয়া থানায় ফোনে যোগাযোগ করলে তারা জানান, আমাকে আটক করার জন্য কোনো পুলিশ পাঠানো হয়নি। পরবর্তীতে থানা পুলিশের একটি দল আমার বাড়িতে এলে তাদের কাছে আমি মৌখিকভাবে অভিযোগ করি এবং আমার মোটরসাইকেলটিটি যে ডাকাতি হয়ে গেছে সেটা বুঝতে পারি। এ বিষয়ে পুঠিয়া থানা পুলিশ জানিয়েছেন, মোটরসাইকেলটি উদ্ধারে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

একাধিক প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে জানা যায়, আগত ব্যক্তিদের গায়ে পুলিশ লেখা জ্যাকেট ছিলো এবং তাদের কাছে অস্ত্র ছিলো। তারা যে দুইটি মোটরসাইকেলে এসেছিল সেই মোটরসাইকেলেও পুলিশের স্টিকার লাগানো ছিলো। তারা মোটরসাইকেলটি নিয়ে যেতে দেখেছেন। এলাকাবাসী তাদের বাঁধা দিলে তারা অস্ত্র উচিয়ে উগ্র আচরণ করেন।

এ বিষয়ে পুঠিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জনাব কবীর হোসেন জানান, তিনি ঘটনাটি সম্পর্কে শুনেছেন। তবে এ বিষয়ে থানায় কোনো অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।