হামলা পালটা হামলা, মৃত্যুমিছিল সব মিলে মধ্যে দিয়েই এক বছর পূর্ণ হয়েছে গাজা যুদ্ধের। তারপরও আক্রমণের এতটুকুও কমায়নি ইজরায়েল। প্যালেস্টাইনের জঙ্গি সংগঠন হামাসের নাম মুছে ফেলতে গোটা গাজা ভূখণ্ড গুঁড়িয়ে দিচ্ছে ইজরায়েলি সেনা। দক্ষিণ গাজার বৃহত্তম শহর খান ইউনুসে তেল আভিভের হামলায় মৃত্যু হয়েছে অন্তত ৭০ জনের। নিহতদের অধিকাংশই নিহ দের মধ্যে রয়েছে শিশুরা। আহতের সংখ্যা প্রায় ২০০। এমনটাই জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্যমন্ত্রক।
গত বছরের ৭ অক্টোবর ইজরায়েলে ঢুকে বেনজির হামলা চালিয়েছিল হামাস। রক্তাক্ত হয়েছিল ইহুদি দেশটি। যার বদলা দিতে গাজায় সুন্নি জঙ্গি সংগঠনটির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে দেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। সেই থেকে জারি রয়েছে রক্তক্ষয়ী সংঘাত। গতকাল এই যুদ্ধের এক বছর পূর্ণ হয়েছে। আর এদিনও রক্ত ঝরেছে গাজায়। দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসে আঘাত হানে ইজরায়েলের বিমানবাহিনী। মুহুর্মুহু বোমাবর্ষণে প্রাণ হারিয়েছেন ৭০ জন। আহতের চিকিৎসা চলছে হাসপাতালে। তাঁদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
এদিকে, ইরানের মদতপুষ্ট গোষ্ঠী হেজবোল্লাকে টার্গেট করে লেবাননের আক্রমণ চালাচ্ছে ইজরায়েল। সোমবার বিবৃতি দিয়ে ইজরায়েলি ডিফেন্স ফোর্সেস জানায়, এক ঘণ্টায় হেজবোল্লার অন্তত ১২০টি ঘাঁটিকে নিশানা করে হামলা চালানো হয়েছে। বিভিন্ন ফ্রন্টে লড়াই করছে সেনারা। পাশাপাশি ইয়েমেন থেকে হাউথিরা সোমবার ইজরায়েলে মিসাইল ছোড়ে। কিন্তু সেটি আঘাত হানার আগেই ধ্বংস করে দেয় বায়ু প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। ফলে চারদিক থেকে আক্রমণ এলেও দমে যাওয়ার পাত্র নয় তেল আভিভ।
সোমবার ইজরায়েলের বুকে হামাসের হামলার বর্ষপূর্তির অতীত স্মরণ করিয়ে দেশের সেনাকে উজ্জীবিত করেন নেতানিয়াহু। তিনি বলেন, “আমরাই জিতব। গাজাতে জিতব, লেবাননে জিতব। ইরানেও হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছি। শত্রুদের গুঁড়িয়ে দাও, একেবারে ধ্বংস করে দাও। আজ থেকে এক বছর আগে আমরা ভয়ানক ধাক্কা খেয়েছিলাম। কিন্তু গত ১২ মাসে সেই ছবিটাকে আমরা সম্পূর্ণরূপে পালটে দিয়েছি।” অন্যদিকে, এই দিনকে আনন্দের সঙ্গে স্মরণ করতে দেখা যায় হামাসকে।
সোমবার (৭ অক্টোবরের) হামলাকে গর্বের দিন বলে উল্লেখ করে হামাস জানায়, এই দিনটি প্যালেস্টাইনের নিরাপত্তায় এক ঐতিহাসিক দিন। এখনও পর্যন্ত তাদের ডেরায় বন্দি রয়েছেন ইজরায়েলের শতাধিক মানুষ। যাঁদের খুঁজতে গাজায় চিরুনি তল্লাশি ইজরায়েলি ফৌজ।