১২ অক্টোবর ২০২৪, শনিবার, ০৫:৪৮:০৮ পূর্বাহ্ন


তাহিরপুর সীমান্তের পাচাঁরকৃত কয়লা বোঝাই নৌকা মধ্যনগরে আটক
মোজাম্মেল আলম ভূঁইয়া (সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি):
  • আপডেট করা হয়েছে : ৩০-০৯-২০২৪
তাহিরপুর সীমান্তের পাচাঁরকৃত কয়লা বোঝাই নৌকা মধ্যনগরে আটক তাহিরপুর সীমান্তের পাচাঁরকৃত কয়লা বোঝাই নৌকা মধ্যনগরে আটক


সুনামগঞ্জের তাহিরপুর সীমান্তের পাচাঁরকৃত চোরাই কয়লা বোঝাই ইঞ্জিনের নৌকা আটক করেছে মধ্যনগর থানা পুলিশ।

সোমবার (৩০ সেপ্টেম্ভর) দুপুরে নদী পথে নেত্রকোনা জেলার কলমাকান্দা থানার সামনে অবস্থিত ডিপুতে যাওয়ার সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আটক করা হয়। আটককৃত নৌকা ও চোরাই কয়লার মুল্য প্রায় ৮লাখ টাকা বলে জানাগেছে।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে-গতকাল রবিবার (২৯ সেপ্টেম্ভর) রাত সাড়ে ১২টা থেকে তাহিরপুর উপজেলার চারাগাঁও সীমান্তের লালঘাট এলাকার আদর্শগ্রাম,বাঁশতলা ও বড় মসজিদের সামনে ভারত থেকে কয়লা পাচাঁর করে নৌকা বোঝাই শুরু করে চোরাকারবারী শামসু মিয়া,সবুজ মিয়া,জামির আলী, শরাফত আলী, রুবেল মিয়া,রফ মিয়া,শফিকুল ইসলাম ভৈরব,জাহের আলী,ফারুক মিয়া,খোকন মিয়া,হারুন মিয়া,আব্দুল্লাহ,সোহেল মিয়া,বাবুল মিয়া,আনোয়ার হোসেন বাবলু,দীপক মিয়া,আইনাল মিয়া,রিপন মিয়া,সাইফুল মিয়া ও তোতলা আজাদগং। অন্যদিকে একই সময়ে পাশের চাঁনপুর সীমান্তের রজনীলাইন ও নয়াছড়া এলাকা দিয়ে চোরাকারবারী জামাল মিয়া, রুসমত মিয়া, নজরুল মিয়া, নজির মিয়া, জহির মিয়া, হারুন মিয়া, রুবেল মিয়া, আক্কল আলীগং প্রায় ৩শ মেঃটন কয়লা ও মদ পাচাঁর করে। একই সময়ে রাজাই ও কড়ই গড়া এলাকা দিয়ে চোরাকারবারী জম্মত আলীগং ২শ বস্তা সুপারী, ২৬০বস্তা চিনি, নাসির উদ্দিন বিড়ি ও মদ পাচাঁর করাসহ এই সীমান্তের পর্যটন কেন্দ্র বারেকটিলার ১২০২নং পিলার সংলগ্ন আনন্দ নগর গারো বস্তির ২নং গেইট ও জাদুকাটা নদী দিয়ে পৃথক ভাবে ৫শ বস্তা চিনি, ৩৭০বস্তা ফুছকা, মদ, গাঁজা ও নাসির উদ্দিন বিড়ি পাচাঁর করেছে একাধিক চোরাচালান মামলার আসামী শাহিবুর মিয়া, ফখর উদ্দিন, তোতা মিয়া, বুটকন মিয়া, বুলবুল মিয়া, রফিক মিয়া, নিজাম মিয়া ও তোতলা আজাদগং। এসবের বিনিময়ে দেশীয় ৫শ বস্তা রসুন, ২শ কেজি মাছ ও শাক-শবজি ভারতে পাচাঁর করে। কিন্তু বিজিবির পক্ষ এব্যাপারে কোন পদক্ষেপ নেওয়ার খবর পাওয়া যায়নি।

এমতাস্থায় আজ সোমবার (৩০ সেপ্টেম্ভর) দুপুরে মধ্যনগর থানার সামনে অবস্থিত নদী দিয়ে কলমাকান্দা যাওয়ার সময় পুলিশ ২৫ টন চোরাই কয়লাই বোঝাই ১টি ইঞ্জিনের নৌকা আটক করে। ওই পুলিশের উপস্থিত টের পেয়ে নদী সাতরিয়ে চোরাকারবারী শামসু মিয়া,শরাফত আলী,সবুজ মিয়া ও জামির আলী পালিয়ে যায়। এখবর পেয়ে স্থানীয় দালাল রাসেল মিয়া থানার সোর্স পরিচয় দিয়ে চোরাকারবারীদের সাথে ২০হাজার টাকা হলে ছেড়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করবে বলে রফদফা শুরু করে এবং চোরাই কয়লার ভুয়া কাগজ পত্র বানানো চেষ্টা চালায়।

এব্যাপারে সন্ধ্যা ৭টায় মধ্যনগর থানার ওসি সজিব রহমান বলেন-কে কি করছে তা আমার জানা নাই,আমি বাহিরে আছি। থানায় গিয়ে আটককৃত অবৈধ কয়লা ও নৌকার ব্যাপারে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এব্যাপারে চাঁনপুর ক্যাম্পের কমান্ডার হাবিলদার মিজানের সরকারী মোবাইল (০১৭৬৯-৬১৩১২৯) নাম্বারে একাধিক বারবার ফোন করার পরও ফোন রিসিভ করেনি। টেকেরঘাট কোম্পানী আতিয়ার রহমান বলেন- চাঁনপুর সীমান্তের বারেকটিলা দিয়ে বিভিন্ন মালামাল পাচাঁরের ব্যাপারে আমি হাবিলদার মিজানকে সর্তক করেছি। দেখি এব্যাপারে কি করা যায়। এই চোরাচালানের বিয়ষে জানাতে সুনামগঞ্জ ২৮ ব্যাটালিয়নের বিজিবি অধিনায়কের সরকারী মোবাইল (০১৭৬৯-৬০৩১৩০) নাম্বারে বারবার কল করার পর শুধু ব্যস্ত দেখায়, কেউ রিসিভ করেনি।